এই লোকটাই নাকি বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন! তাঁর নামের সঙ্গে রয়েছে নানা বিশ্ব রেকর্ড! সেই বিরাট কোহলি ওয়ার্ল্ড কাপ জয়ের পরেই লন্ডন পাড়ি দিয়েছেন। সেখানেই তাঁকে দেখা গেল একদম ভিন্ন মেজাজে।
যেদিন, ভারতের বুকে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ মিছিল বেরিয়েছিল, সেদিন রাতেই বিরাট লন্ডন রওনা দেন। ছেলে মেয়ের সঙ্গে সময় কাটানোর ইচ্ছে কার না হয়? ব্যতিক্রম বিরাট নিজেও নন। আর এবার তো, একদম ভিন্ন মুডে দেখা গেল তাঁকে। বিরাট এবং অনুষ্কা একসঙ্গে, তাও আবার একদম সাধারণভাবে? নজর কাড়লেন তারকা দম্পতি!
লন্ডনে তাঁদের অনেকেই চেনেন, কিন্তু মাতামাতি হওয়ার সেরকম সম্ভাবনা নেই। সেকারণেই বোধহয় স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াতে পারেন তাঁরা। এর আগে যদিও বা, একটা সময় ধর্মীয় আবেগ তাঁর ছিল না। কিন্তু অনুষ্কা যে তাঁর জীবনে এমন একটা চ্যাপ্টার যোগ করেছেন সেকথা কিন্তু, বিরাট নিজেই জানিয়েছিলেন। মহাকালেশ্বর থেকে বৃন্দাবন - সর্বত্রই গিয়েছেন তিনি। লন্ডনে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেল কীর্তন শুনতে।
আরও পড়ুন - Junaid Khan responds to Aamir Khan: বাবার মতো পারফেকশনিস্ট নয়, কিন্তু আমিরের ছেলে জুনায়েদের গুপ্ত-সুপ্ত ইচ্ছে জানলে চমকে যেতে হয়!
একদম সাদামাটা, কোনও রাজকীয়তার ছাপ নেই। দুজনে হাজির হলেন, কীর্তন শুনতে। সামনের সারিতে বসলেন। তারকা সুলভ আচরণ তো নয়ই! বরং একদম সাধারণ। বিরাটের কাঁধে অনুষ্কার ব্যাগ দেখেও তাঁকে পারফেক্ট হাসবেন্ড গোল বলছে নেটপাড়া। আবার কেউ কেউ এমন প্রশ্নও তুলছেন, যে লন্ডনে গিয়ে কেন? ভারতের বুকে কীর্তন শোনা যেত না?
যদিও, তাঁদের উত্তর দিয়েছেন অনেকেই। কেউ বলেছেন, অনুষ্কা আর বিরাট এখানে কীর্তন শুনতে গেলে ওদের কপালেই দুঃখ আছে। আবার কেউ বললেন, ভগবান তো সর্বত্রই! এসব না দেখে ওটা ভাবুন যে তারকা হয়েও কোনরকম আচরণ নেই। এখানেই শেষ না। আবার কেউ এও বাতলে দিলেন, একবার ভাবুন, ওরা ওখানে কতটা সুরক্ষিত।
উল্লেখ্য, এবার টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন সেভাবে অনুষ্কাকে মাঠে দেখা যায়নি। ছেলেমেয়েকে নিয়েই বেশিরভাগ সময়টা লন্ডনে ছিলেন তিনি। নইলে, গতবছর ক্রিকেট বিশ্বকাপে অনুষ্কা প্রেগন্যান্সি চলাকালীন মাঠে ছিলেন। তবে, মানসিকভাবে বিরাটের পাশে যে সবসময় থেকেছেন সেকথা বোঝাই গিয়েছিল অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে।