লক্ষ্মীপুজোর তোড়জোড় বাংলার ঘরে ঘরে। আর পাঁচজন মানুষের মতই দেবী আরাধনায় ব্যস্ত অপরাজিতা আধ্য। প্রতিবছর এই দিনে তাঁর নিশ্বাস নেওয়ার মত সময় থাকে না, আর এবছরও সমান ধুমধামে তিনি আয়োজন করেছেন পুজোর।
Advertisment
গতকাল রাত থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। মা লক্ষ্মীকে এবার তিনি সাজিয়েছেন সাবেকি সাজে। পরনে লাল বেনারসি, সোনালী গয়না - যেন বাঙালি কন্যে। বিয়ের পর থেকে নিজ দায়িত্বে সামলাচ্ছেন পুজোর সবকিছু। তিনি নিজেও এক্কেবারে সেজে গুজে তৈরি। লাল শাড়ি, নথ - বনেদিয়ানা যেন ঘিরে ধরেছে অপাকে।
তাঁর বাড়ির পুজোয় বিশেষত্ব কিন্তু রয়েছে। গত ত্রিশ বছর ধরে পুজো হয়ে আসছেন একই মাতৃ মূর্তি। মাটির প্রতিমা হওয়ার পরেও বিসর্জন হয়নি তাঁর। এক সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, লক্ষ্মীর আবার বিসর্জন হয় নাকি, তাই জন্যই কোনোদিন প্রতিমা জলে ভাসানো হয় নি।
অপরাজিতার লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে ভোগের কিন্তু দারুণ আয়োজন। নারকেল নাড়ু তো রয়েছেই। এলোঝেলো থেকে শুরু করে চিরে ভোগ, মুড়ির মোয়া, ফলপ্রসাদ সবই রয়েছে। খিচুড়ি, লাবড়া, আলুর দম, মিষ্টি, পায়েস কী নেই! আয়োজনে একেবারেই খামতি রাখেন নি অপরাজিতা।
কম করে ৩২ বছরের পুজো। প্রতিবার এইদিনে তাঁর তোড়জোড় থাকে দেখার মত। সবকিছু তৈরি, দেবীকে সাজিয়ে গুছিয়ে আসনে বসিয়ে দিয়েছেন অপরাজিতা। বছরে একদিনই ঠাকুরকে নীচে আনা হয়, তারপর আবার উপরেই তাকে রাখা হয়। বছর বছর রং করা হয়। তবে আজ বিরাট ব্যস্ততা ঘিরে ধরেছে তাকে।