মুজিব, একটি জাতির রূপকার ছবির সাফল্য ওপার বাংলায় দেখা গিয়েছে। সারা দেশজুড়ে শো সংখ্যা বেড়েছে বৈকি কমেনি। এমন একটি মানুষের ওপর তৈরি এই ছবি, যাকে অস্বীকার করা বাংলাদেশ তথা বিশ্ব রাজনীতির পক্ষে সম্ভব না। কারণ, তিনি বঙ্গবন্ধু। শেখ মুজিবুর রহমান।
Advertisment
দীর্ঘ তিনবছর ধরে শুটিং। ভারত এবং বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় এই ছবি সম্পূর্ন হয়েছে। কাজ করেছে দুই বাংলার নানা অভিনেতা। উঠে এসেছে তৎকালীন সমস্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। শ্যাম বেনগাল নির্দেশিত এই ছবিতে শুভ সুযোগ পেয়েছিলেন প্রায় পাঁচ দফার অডিশনের পর। অভিনেতা বলেন, উনি যে আমায় এতগুলো অডিশনের পর এই সুযোগটা দিয়েছিলেন সেটাই তো অনেক। আমি এর জন্য ওনার কাছে চির কৃতজ্ঞ।
দুই বাংলার মানুষের আবেগ তুলে ধরেছে এই ছবি। শেখ মুজিবুর রহমান লড়েছিলেন বাংলা ভাষার জন্য, বাংলার জন্য। কিন্তু যাদের জন্য তিনি করেছিলেন, একদিন তাঁদের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হন তিনি এবং তাঁর গোটা পরিবার। ১৯৪৭, ৫২ এবং ৭১ সালে নানা ঘটনা। শেখ মুজিবর মারা যাওয়ার পর তাঁর পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ভারতের সঙ্গে মুজিবুর পরিবারের সম্পর্ক ছিল বেশ গভীর। নানা সময় সেদেশ থেকে এদেশে চলে এসেছেন অনেকেই। সেই সূত্র ধরেই শুভ বলেন...
"ওপার বাংলার মানুষ এই ছবি দেখে আপ্লুত। বছরের পর বছর নানা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সেদেশে জন্ম নেওয়া অনেক মানুষ এদেশে চলে এসেছেন। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের মানুষরা তো বটেই, তবে ভারতের মানুষরা একটু বেশি পরিমাণে এই ছবির সঙ্গে মিলিয়ে যাবে। আমি অন্তত এই দাবিটা রাখব।"
উল্লেখ্য, মুজিবুর হিসেবে তিনি নিজেকে কতটা মেলে ধরতে পেরেছেন তার বিরাট সার্টিফিকেট দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা নাকি তাঁকে এও বলেছেন বাবাকে কী করে ধারণ করলে? কেঁদে ভাসিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অভিনেতা জানিয়েছিলেন এর থেকে বড় আর কিছুই হয় না। যার বাবা তাঁর পছন্দ হয়েছে, সুতরাং আর কিছু বলার নেই।