জঙ্গিপুরে হাসপাতাল বানাতে চান অরিজিৎ। প্ল্যান সেরে ফেলেছেন অনেকদিন। এবার শিল্পীর উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাত বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, সবরকমভাবে পাশে রয়েছেন তিনি।
মালদা এবং মুর্শিদাবাদ সফরের সময় অরিজিৎকে প্রশংসায় ভড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, জিয়াগঞ্জের বাসিন্দা অরিজিৎ এর জঙ্গিপুরে হাসপাতাল বানাতে সাহায্য করবেন বলেই তিনি জানিয়েছেন। অরিজিৎ সিংয়ের স্বপ্নপূরণে পাশে থাকতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়েছেন, অরিজিৎ গ্রামের জন্য কিছু করতে চায় তাই তাঁকে সহযোগিতা করতেই হবে।
এমনিও শিল্পী নিজের কনসার্টের টাকায় নানা সমাজসেবামূলক কাজ করেন। কখনও মেয়েদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবার এখন হাসপাতাল, অরিজিৎ এর তুলনা নেই। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ওর হাসপাতালের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জেলা প্রশাসনের কাছে দেওয়া হয়েছে। জিয়াগঞ্জের ছেলে হলেও জঙ্গিপুরে হাসপাতাল বানাতে চায় ও। ওকে সবরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন"।
বলিউড মিউজিকের শুরু এবং শেষ এখন অরিজিৎ। তাঁর অনুরাগী সংখ্যা হোক অথবা জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। কিন্তু নিজের শিকড় না ভুলেই আজও জিয়াগঞ্জের বাড়িতেই সপরিবারে থাকেন তিনি। রাস্তায় স্কুটি নিয়ে যাতায়াত করেন। আর পাঁচজন শিল্পীর মত কোনও আড়ম্বর চাকচিক্য নেই। তিনিই সেই মানুষ যিনি ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে স্লিপার পরেও যেতে পারেন।
উল্লেখ্য, কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চে গেরুয়া গান গেয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন অরিজিৎ। আবার পরবর্তীতে এও বলেছিলেন, গেরুয়া সন্ন্যাসীদের রং এর সঙ্গে রাজনৈতিক বিতর্ক টানার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও বারবার অরিজিৎকে প্রশংসায় ভরিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, হাসপাতাল গড়তে সবসময় তাঁর সঙ্গে রয়েছেন।