"ভুঁইফোড়দের মতো হতে পারব না", সাফ জানালেন অরিন্দম শীল (Arindam Sil)। রবিবার ডুমুরজেলার মঞ্চে উঠেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শোনা গিয়েছে রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh) কণ্ঠে। শুধু তাই নয়, অরিন্দম শীল-সহ টালিগঞ্জ স্টুডিও পাড়ার আরও কয়েকজন তারকা যে গেরুয়া শিবিরে অতি সত্ত্বর নাম লেখাতে চলেছেন, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা। তাহলে কি রুদ্রনীলের হাত ধরেই বঙ্গ পদ্ম শিবির টলিউড তারকাদের সামনে রেখে ‘নির্বাচনী ঘুটি’ সাজাতে চলেছে? সেই জল্পনাই তুঙ্গে পৌঁছেছিল। এবার সেই প্রেক্ষিতেই বিজেপিতে যোগদান নিয়ে রুদ্রনীল ঘোষকে বিঁধলেন অরিন্দম শীল। কোনওরকম রেয়াত না করেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, "রুদ্র কবে থেকে বিজেপির মুখপাত্র হয়ে গেলো?" ওড়ালেন তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর তরফে যোগাযোগ করা হলে অরিন্দম শীল ক্ষোভ উগরে দিলেন। বললেন, "রুদ্রনীল প্রমাণ করুক আগে। রুদ্রনীলকে উপদেশ, আগে নিজের দায়িত্ব ঠিক করে পালন করুক ও। ও কী আমার দায়িত্ব নিয়ে রেখেছে নাকি?"
অরিন্দম শীল গত কয়েক বছর ধরেই মমতা-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাই তাঁর গেরুয়া শিবিরে যোগ নিয়ে জল্পনা যখন চরমে, সেই প্রেক্ষিতে ধোঁয়াশা সাফ করাটাই স্বাভাবিক! পরিচালকের কথায় রুদ্রনীলের সঙ্গে বহু দিন তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেরও বহুদিন আগে কথা হয়েছিল। তাও আবার টেক্সট মারফৎ। অরিন্দম সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাজনীতির ময়দান নয়, সিনেমাই তাঁর আসল জায়গা।
এর পাশাপাশি যাঁরা রাজনৈতিক রং-বদল করছেন, তাঁদেরকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি পরিচালক। তকমা সেঁটেছেন 'ভুঁইফোড়' বলে। তাঁর কথায়, জীবনে যা করেছেন, তার সব ক্ষেত্রেই নিজের সিদ্ধান্তে দৃঢ়ভাবে একেবারে প্রথম সারিতে থেকেছেন। কাজেই কাউকে অনুসরণ করে দল-বদল করার কোনও প্রয়োজন তাঁর নেই। ভুঁইফোড়দের মতো পিছুপিছু তিনি ঢুকে পড়লেন- এমনটা তার ধাতে নেই। হবে না।
অরিন্দম শীলের কথায়, দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি সেবামূলক কাজ করে আসছেন। কাজেই এবার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কিংবা সেবা করার জন্য তাঁর আলাদা করে রাজনৈতিক মঞ্চের দরকার পড়বে না। তাঁর মন্তব্য, "ভারতের আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে যুক্ত না হওয়াই ভাল।"