Bengali Cinema: ঘরে ঢুকতেই ঝিনুক বলে উঠল, ''আবার আবিরকে সহ্য করা!'' কথা কেটেই আবিরের বক্তব্য, ''শুধু তুই কেন? আমাকেও তো ঝিনুককে সহ্য করতে হচ্ছে!'' এদের দুজনের খুনসুটি লেগেই রয়েছে। পর্দা থেকে রিয়েল লাইফ, ঝগড়া যে বাদ নেই কোথাও, তার ঝলক মিলল পর্দার বাইরেও। আড্ডা জমল 'দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন'-এর জুটি অর্জুন চক্রবর্তী ও ঈশা সাহাকে নিয়ে।
প্রেমটা কি গভীর হয়েছে? প্রশ্নটা করতেই উত্তর ধেয়ে এল-- দু'জনে একসঙ্গে বলে উঠলেন, ''হয়েছে!'' অর্জুনের খোলাখুলি জবাব, ''আগের থেকে অনেক বেশি পরিণত। খুব সূক্ষ্মভাবে সেটা দেখানো হয়েছে।'' ঈশা বললেন, ''স্নিগ্ধ প্রেম!'' এ ছবিতে সম্পর্কগুলো আরও গাঢ় হয়েছে, মত দু'জনেরই। একসঙ্গে বেশি সময় কাটানোর কারণে সোনাদা, আবির ও ঝিনুকের সম্পর্ক অনেক সাবলীল। তবে ছবির র্যাপ নিয়ে এক্সাইটেড অর্জুন-ঈশা। এখনও শুনে উঠতে পারেননি পুরো গানটা।
আরও পড়ুন: ‘সাগরদ্বীপে যকের ধন’ ছবির থ্রি ডি পোস্টার
গোয়েন্দা চরিত্রে ফের আবির চট্টোপাধ্যায়, কথাটা বলা মাত্রই ভ্রম সংশোধন করলেন দুজনেই। ঈশা জানালেন, ''সোনাদা গোয়েন্দা নয়ই। সবাই এই ভুলটাই করছে।'' ''ফেলুদা-ব্যোমকেশের মতো সোনাদার কাছে মানুষ কেস নিয়ে আসে না। সোনাদা পারিশ্রমিকের জন্য কেস নেয় না। সোনাদা প্রফেসর। বেড়াতে গিয়ে ওরা অ্যাডভেঞ্চারে জড়িয়ে পড়ে। এটাই এই ফ্র্যানঞ্চাইজির বিশেষত্ব'', বুঝিয়ে বললেন অর্জুন।
ঈশার সঙ্গে অর্জুনের প্রথম কাজ ছিল 'গুপ্তধনের সন্ধানে'। সাক্ষাৎকার দিতে দিতেই ঈশাকে রাগানো হয়ে গেল একচোট। অর্জুন বললেন, ''বড়রা পর্দায় যতটা গম্ভীর ফ্লোরে কিন্তু নয়। ঈশা থাকলে তো সময় এমনিই কেটে যায়। (ঈশা চোখ বড় বড় করে অর্জুনের দিকে তাকাতেই প্রায় এক নিঃশ্বাসে অর্জুন বলে উঠলেন) ওনারাও ঈশাকে রাগাতেই ব্যস্ত থাকছেন দেখে আমি আর আবিরদা খুশি হয়েছি, যে আমরা একা নই।'' ঈশা বললেন, ''অনিন্দ্যদার সঙ্গে আগে কাজ করেছি, কিন্তু অভিনেতা হিসেবে এটাই প্রথমবার। সবাই ভূতের ভয় দেখিয়েছে আমাকে।''
আরও পড়ুন: ঐশ্বর্য রাইয়ের মিম মুছে ক্ষমা প্রার্থনা বিবেকের
আবির চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পর্দায় ওঁদের রসায়ন তো অনবদ্য, একটু পর্দার নেপথ্য কথা শোনার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই অর্জুন বললেন, ''রিয়েল লাইফে আবিরদা আমার বড়দা। সেই সম্পর্কটা পর্দায় বোঝা যায়। আবির চট্টোপাধ্যায় আর অর্জুন চক্রবর্তীর কেমিস্ট্রি এই ইন্ডাস্ট্রিতে সেরা। হিরোইন-হিরো সবাই ফেল।'' ঈশা বলে বসলেন, ''এই যে আমিও আছি এবারে। সঙ্গে সঙ্গে অর্জুনের অকপট উত্তর, হ্যাঁ হ্যাঁ! যেমন বড় অভিনেতারা রয়েছেন সেরকমই সিনিয়রদের মধ্যে ঈশা সাহা আছে (হাসি)।'' তবে প্রথমবার আবিরের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে টেনশনে ছিলেন। এবারে সেই জড়তাটা কেটেছে ঈশার, এমনটাই জানা গেল।
'দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন'-এর মূল ইউএসপি কিন্তু এই তিন তারকার বন্ডিং এবং এই বন্ডিংটাই পর্দায় দেখতে পাবেন দর্শক। গরমের ছুটিতে আসছে ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ছবি। অর্জুন আর ঈশার মত, ৮ থেকে ৮০, প্রত্যেকের জন্য রসদ রয়েছে ছবিতে। সুতরাং ছবিটা দেখতে আসতেই হবে তাঁদের।