কোনও ছবি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তিনি চারটি বিষয় দেখে নেন- এক চিত্রনাট্য, দুই গল্প, তিন ছবিতে তাঁর চরিত্র এবং সবশেষে পরিচালকের তাঁর ইক্যুয়েশন। তবে 'বহমান'-এর ক্ষেত্রে আরও একটা ফ্যাক্টর হল অর্পণা সেনের সঙ্গে অভিনয় করতে পারা। তিনি অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। এদিন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে কথা বললেন পর্দা থেকে পর্দার বাইরের বিভিন্ন বিষয়ে।
আপনার বিপরীতে হেভিওয়েট অভিনেত্রী...
(কথা কেটে) ও আই ওয়াজ ভেরি নার্ভাস। রিনাদি'র (অপর্ণা সেন) সঙ্গে তো আমার আজকের সম্পর্ক নয়, সেই সানন্দা তিলোত্তমা- থেকে উনি আমায় দেখেছেন। তখন আমি ভীষণ ছোট, সদ্য স্কুল পাশ করেছি। তাই এই সম্পর্কটা না বড় আবেগের, খুব একটা প্রসফেশনাল নয়। ভয় ঠিক নয় বরং সম্ভ্রমটা ভীষণ রকম ছিল। এমনকী বলতে পারেন, এই ছবিটা করার পিছনে আর একটা কারণ অর্পণা সেন। কোথাও জানতাম অনেক কিছু শিখতে পারব। উনি পরিচালক, অভিনেত্রী সুতরাং সেটে অনেক কিছু শিখতে পারব। ওঁর পরিচালনায় কাজ করা সম্ভব হয়নি, তবে এখানে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটেছে (হাসি)।
আরও পড়ুন, সত্যজিতের সিনেমার ক্রেডিটে গুলজারের ছবি, ভুল সংশোধন ইফির
পরিচালকের সঙ্গে কাজের জার্নিটা কেমন ছিল?
আমার মহিলা পরিচালকের সঙ্গে কখনও কাজ করা হয়নি, এটা প্রথমবার (হাসি)। শুনতে অন্যরকম লাগতে পারে কিন্তু যখন দেখি পুুরুষ অধ্যুষিত কোনও জায়গায় মহিলারা দাপটের সঙ্গে কাজ করছে আমার ভাল লাগে। এখন সংখ্যায় কম হলেও মহিলা ডিওপি ও সাউন্ড রেকর্ডিস্ট দেখতে পাওয়া যায়। এগুলো আমাকে ভীষণ উৎসাহ দেন।
তবে অনুমিতার ক্ষেত্রে আর একটা বিষয় ভাল লাগে যে ও সবকিছু জানতে সেটা এই কনসেপ্টটা থেকে বেরিয়ে এসেছে। যেহেতু সত্যজিৎ রায় আমাদের কাছে পরিচালনার প্যারামিটার (হওয়াটাই স্বাভাবিক) এবং উনি অনেককিছু কাজ একসঙ্গে করতেন। সেটা না কোথাও আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে। সেটা অনেক প্রজেক্টকে এফেক্ট করে।সবকিছু তো সবাই পারে না, এটাই স্বাভাবিক। এটা অনুমিতা সৎভাবে স্বীকার করে নেয়।
'বহমান' ছবিতে যেমনটা দেখানো হয়েছে, আমরা কী সম্পর্কের ক্ষেত্রে সত্যিই পগ্রেসিভ হয়েছি?
পগ্রেসিভ হয়েছি আগের থেকে বেশি। কিন্তু অ্যা লট টু অ্যাচিভ। যেটা মনে হয়, আমাদের ধ্যান-ধারণাগুলো এত শিকড়ে সেটা বদলাতে সময় লাগবে।নারীকে সম্মান করতে এখনও সবাই শিখিনি। বাড়ি ও চারপাশের পরিবেশ সন্তানকে এই ভ্যালুটা শেখায়। সেটা আমাদের মধ্যে কম।
আরও পড়ুন, আগামী বছর নবম শ্রেণি! পড়াশোনা সামলে কীভাবে শ্যুটিং, জানালো সৌমি
সামনে কী কী কাজ আসছে আপনার?
অ্যা লট অফ ফিল্মস। সব মুক্তির দোরগোড়ায়। 'পূর্ব-পশ্চিম-দক্ষিণ উত্তর আসবেই' রিলিজ করল, তারপরেই 'বহমান', 'বরুণবাবুর বন্ধু'। জানুয়ারিতে 'রাইফেল' ছাড়াও আরও একটি ছবি। ফেব্রুয়ারিতে ফের দুটো- 'অব্যক্ত' এবং 'হৃৎপিণ্ড'। মার্চে 'গুলদস্তা'। এপ্রিলে গরমের ছুটিতে 'হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী'।