পাড়ার লোক দাবি করেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) নাকি মামা-ভাগ্নি। পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক ঘিরে কম জলঘোলা হয়নি! বিতর্কও তুমুল। এদিকে রাজ্যের শিক্ষাঙ্গণে ভয়ঙ্কর আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দুজনেই এখন জেলবন্দি। এসবের মাঝেই পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রীর মা মিনতি মুখোপাধ্যায়।
মিনতিদেবীর কথায়, "পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমার ভাই নয়। তাহলে অর্পিতার মামা হবে কী করে? আজকাল কে, কাকে মামা বলছে, কাকু বলছে, কোনও ঠিক নেই।"
প্রসঙ্গত, বাংলার পাশাপাশি ওড়িয়া-তামিল ইন্ডাস্ট্রিতেও কাজ করেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। মডেলিং-এও নাম করেছিলেন। নাকতলা পুজোর মুখ, সেই অভিনেত্রীরই বর্তমানে রাজ্যের SSC দুর্নীতি-কাণ্ডে নাম জড়িয়ে ঠাঁই হয়েছে জেলে। অর্পিতার ঠিকানা এখন আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের ২ নম্বর ঘর। দিনরাত কপাল চাপড়াচ্ছেন জেলে। কারণ, নায়িকা-মেয়ের থেকে মুখ ফিরিয়েছেন মা-ও। মিনতি মুখোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, জেলে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন না তিনি।
<আরও পড়ুন: নামবিভ্রাট! ভুয়ো মৃত্যুর খবরে ভয়ঙ্কর রেগে গেলেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়>
৩০০ স্কোয়ার ফিটের ঘরে ১৯জন সহ-বন্দির সঙ্গে অভিনেত্রীকে কাটাতে হচ্ছে প্রতিটা মুহূর্ত। সেই ঘরেই শৌচালয়। যিনি কিনা বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত, তাঁর এমন দশার জন্য দিনরাত দুষছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এদিকে মা কিংবা ঘনিষ্ঠ কাউকেই কাছে না পেয়ে চূড়ান্ত মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছেন অভিনেত্রীকে।
মিনতিদেবীরও বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভগ্নপ্রায় শরীর। বাইরে বেরতে পারেন না। টাকা তুলতে শুধু ব্যাঙ্কে যাওয়া। তাছাড়া, অর্পিতার গ্রেপ্তারের পর থেকেই বাড়ির সামনে বহু লোকের আনাগোনা। তবে চাইলে-ই বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না যে কেউ! প্রথমে আধার কার্ডের জেরক্স দিতে হচ্ছে। সেটা দেখে আইনজীবী সবুজ সংকেত দিলেই মিলবে প্রবেশের অনুমতি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন