/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/30/cats-2025-10-30-16-35-13.jpg)
প্রেমিকাকে বিয়ার খাইয়ে...
Arshad Warsi Wife Maria Goretti: দীর্ঘ আট বছর পরস্পরকে ডেট করেছেন আরশাদ ওয়ারসি ও মারিয়া গোরেত্তি। এরপর ১৯৯৯ সালে আরশাদ ও মারিয়া বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আরশাদ মুসলিম ও তাঁর স্ত্রী মারিয়া খ্রীষ্টান। আন্তঃধর্মীয় বিবাহের মাধ্যমে চারহাত এক করে জীবনের নতুন জার্নি শুরু করেন সেলেব দম্পতি। দাম্পত্যের ২৫ বছর পার। সম্প্রতি এক পডকাস্টে আরশাদ তাঁদের প্রেমকাহিনি থেকে বিয়ে, সংসার নিয়ে খুল্লামখুল্লা কথা বলেন। মারিয়াকে প্রথম দেখেছিলেন একটি নাচের প্রতিযোগিতায়। মারিয়া প্রথমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেননি। তবে একবার নেশাগ্রস্থ হয়ে ভালবাসার ইস্তেহার করেছিলেন আরশাদ ঘরনি।
অতীতের স্মৃতিচারণ করে আরশাদ জানান, মারিয়া খুব ভালো মেয়ে। প্রতিদিন গির্জায় যেতেন, ভদ্র, অত্যন্ত মার্জিত ও ভালো নৃত্যশিল্পী। তাই মারিয়ার প্রতি অভিনেতা আসক্ত হয়েছিলেন। মারিয়া একাধারে যেমন ছিলেন সুন্দরী তেমনই দুর্দান্ত নৃত্যশিল্পী, এমনটাই বলেন বড় পর্দার সার্কিট। সেই সময় আরশাদ ছিলেন কোরিওগ্রাফার। একটি কলেজ প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ডাকা হয়েছিল। এক বন্ধু বলেছিলেন, সেন্ট অ্যান্ড্রুজ কলেজে এক মেয়ে আছে যার হাসি খুব সুন্দর।
আরও পড়ুন ঐশ্বরিক আভা-তীব্র দৃষ্টিভঙ্গি! মহাবিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সুপারহিরোর ভূমিকায় কোন অভিনেত্রী?
তিনি আরও যোগ করেন, 'যখন সেই কলেজের পালা এল আমি খুঁজছিলাম কার হাসিটা সবচেয়ে ভাল। তখনই আমার নজর ওঁর দিকে যায়। সুন্দরী একটি মেয়ে দারুণ নাচ করছে। আমি ওকে বলেছিলাম আমি নাটক করি। যদি কখনও করতে চাও তাহলে খুব ভাল লাগবে। কিন্তু সে তখন না বলে দেয়।' পরে অবশ্য মারিয়া তাঁদের নাটক দেখতে আসেন এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসেবে নাট্যদলে যোগ দেন।
স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, 'আমি বান্দ্রায় এক নাটক করছিলাম। ওএসে দেখে। খুব পছন্দ হয়। তারপর আমাদের দলে যোগ দেয়। সেখান থেকেই ও আমার প্রেমে পড়ে, আমি নয়। ও কখনও বলেনি, কিন্তু শরীরী ভাষায় সেটা বেশ ভালই বোঝা যেত। আমার সব বন্ধুরাও বলত যে ও আমাকে পছন্দ করে। আমি জিজ্ঞেস করলে সরাসরি অস্বীকার করত।'
আরও পড়ুন ছেলের কাছে কাতর আর্জি করলেও মেলেনি একফোঁটা জল, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আরশাদের তৃষ্ণার্ত মা
এক মজার ঘটনার কথা স্মরণ করে আরশাদ ওয়ারসি বলেন, 'একবার দুবাইয়ে শো করতে গিয়েছিলাম। তখন আমি এই ভাল ক্যাথলিক মেয়েটিকে বিয়ার খাওয়ালাম। অর্ধেক বোতল বিয়ার শেষ হতেই ওঁর সব অনুভূতি বেরিয়ে এল। তারপর আমরা একসঙ্গে ঘুরতে শুরু করি, ধীরে ধীরে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়। প্রেম পরিণতি পায় বিয়েতে। ওকে দেখলে এখনও মনে হয় কত ভাল, সুন্দর, যত্নশীল, নীতিবান, নিজের বাবা-মায়ের যত্ন নেয়। একটি মেয়ের মধ্যে যা যা গুণ সকলে দেখতে চায় সব ওঁর মধ্যে বর্তমান। একটাই মজার ব্যাপার, ও একদম পাগল!' হাসতে হাসতে বলেন আরশাদ।
আরও পড়ুন ওপার বাংলায় রাজনৈতিক অস্থিরতা, বাংলাদেশ যাচ্ছেন অরিজিৎ সিং? প্রকাশ্যে বিরাট সত্যি
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us