স্বপ্নের অস্কার দৌড় থেকে ছিটকে গেল 'ভিলেজ রকস্টার' ধুনু

ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার রাজেন্দ্র সিং বাবু বললেন, "অস্কার মঞ্চে কোনো ছবি মনোনীত হলে তার প্রচারের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়, সে সামর্থ্য এখানকার ছবি নির্মাতাদের থাকে না"।

ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার রাজেন্দ্র সিং বাবু বললেন, "অস্কার মঞ্চে কোনো ছবি মনোনীত হলে তার প্রচারের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়, সে সামর্থ্য এখানকার ছবি নির্মাতাদের থাকে না"।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র জগতের সেরা সম্মান অ্যাকাডেমি পুরস্কার বা অস্কার। ২০১৯-এর বিদেশি ভাষার ছবিতে অস্কার মনোনয়নে ভারত থেকে বাছাই করা হয়েছিল 'ভিলেজ রকস্টার'। সোমবার অস্কার প্রতিযোগিতায় পরবর্তী ধাপের জন্য শর্টলিস্টেড ছবির নাম ঘোষণা করল কর্তৃপক্ষ। গ্রামের মেয়ের ধুনুর স্বপ্নের দৌড় থেমে গেল মাঝপথেই। বাদ পড়ল রিমা দাসের ছবি 'ভিলেজ রকস্টার'।

Advertisment

৯১ তম অ্যাকাডেমি সম্মানের জন্য বিদেশি ভাষার সেরা ছবির লড়াইয়ে রয়ে গেল কলোম্বিয়ার 'বার্ড অব প্যাসেজ', ডেনমার্কের 'দ্য গিল্টি', জার্মানির 'নেভার লুক অ্যাওয়ে', জাপানের 'শপলিফটার্স', কাজাকাস্তানের 'আয়কা', লেবাননের 'ক্যাপেরনম', মেক্সিকোর 'রোমা', পোল্যান্ডের 'কোল্ড ওয়ার'। সারা পৃথিবীর মোট ৮৭টি ছবি জমা পড়েছিল এই বিভাগে।

২০১৮-এর জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে ভিলেজ রকস্টার জুটিয়েছিল বেশ কিছু 'সেরা'র সম্মান। সেরা ছবি, সেরা শিশু শিল্পী, সেরা সম্পাদনা, সেরা লোকেশন এবং শব্দের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছে রিমা দাস পরিচালিত প্রথম ছবিটি।

আরও পড়ুন, সিনেমা ‘উৎসব’ নিয়ে আসছেন ঋতুপর্ণা

Advertisment

ছবি মনোনীত হওয়ার পরেই অস্কার মঞ্চে ভারতীয় ছবির স্বীকৃতি এত বিরল কেন, সেই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার রাজেন্দ্র সিং বাবু। তিনি বলেন, "অস্কার মঞ্চে কোনো ছবি মনোনীত হলে তার প্রচারের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়, সে সামর্থ্য এখানকার ছবি নির্মাতাদের থাকে না। প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ করে তবেই প্রচার পাওয়া যায়"। প্রসঙ্গত, 'ভিলেজ রকস্টার' ছবিটির চিত্রনাট্য, পরিচালনা, প্রযোজনা, সম্পাদনা, চিত্রগ্রহণ সবটাই একা হাতে সামলেছেন রিমা দাস।

হিচকি, পদ্মাবত, রাজি, লভ সনিয়া, ন্যুড, পিহু ও প্যাডম্যানের মতো ২৭টি সিনেমাকে পেছনে ফেলে স্বপ্নের দৌড়ে অনেকটা এগিয়েছিল ধুনু। এবার প্রতীক্ষা, আগামী দিনে দেশের অন্য কোনো প্রান্তের অন্য কোনো ধুনু যদি আবার স্বপ্ন দেখা শুরু করে।

Read the full story in English

National Film Award