সারা দেশের সংবাদমাধ্যম বিগত প্রায় দেড় মাস ধরে বহু তথ্যসমৃদ্ধ লেখা, ভিডিও কনটেন্ট প্রকাশ করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে। তার বেশিরভাগই ইংরেজি অথবা হিন্দি ভাষায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিও স্থানীয় ভাষায় সংবাদ পরিবেশন করে চলেছে অবিরত। কিন্তু সেই সব তথ্য কি আদৌ পৌঁছতে পারছে সেই সব মানুষের কাছে যাঁরা সংবাদমাধ্যমের পরিশীলিত শব্দচয়ন বা বাক্যবন্ধ ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না? টিভিএফ প্রতিষ্ঠাতা অরুণাভ কুমারের মতে, এখনও দেশের একটি বড় অংশ, যাঁরা অর্থনৈতিক স্তরবিন্যাসের একেবারে নীচের দিকে রয়েছেন, তাঁরা এই মারণ রোগ সম্পর্কে সচেতন নন। তাঁদের জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন অরুণাভ যেখানে সঙ্গ দেবেন দেশের প্রথম সারির ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটররা।
বিশেষত যাঁরা দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন, তাঁদের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ। এই শ্রেণির জন্য একদিকে এগিয়ে এসেছেন বলিউডের তারকা। এই শ্রেণির মানুষ যাতে এই সময় অনাহারে-অপুষ্টিতে না পড়েন, তার জন্য অমিতাভ বচ্চন থেকে হৃতিক রোশন, সকলেই নানা ভাবে অন্নসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। অন্যদিকে, এই শ্রেণির মানুষের কাছে করোনা নিয়ে আরও বেশি করে সচেতনতা প্রচারের লক্ষ্যেই এগিয়ে এসেছে টিভিএফ, অরুণাভ কুমারের নেতৃত্বে।
আরও পড়ুন: ‘লকডাউন’, ঘরবন্দি থেকেই তৈরি আরিয়নের শর্টফিল্ম
অরুণাভ বলেন, ''সবাই তাঁদের মতো করে সাহায্য করছেন, কেউ অর্থ সাহায্য করছেন, কেউ গরিব মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র-ওষুধ ইত্যাদি সরবরাহ করছেন। এমন বেশ কিছু স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে কাজ করে আমি উপলব্ধি করেছি, এই শ্রমিকেরা, যাঁরা আমাদের দেশের লাইফলাইন, তাঁরা এখনও এই বিষয়ে খুব একটা কিছু জানেন না। ওঁদের কাছে এই অসুখ সম্পর্কে নানা তথ্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা, আমাদের কয়েকজন প্রথম সারির কনটেন্ট ক্রিয়েটর বন্ধুদের সহযোগিতায়।''
ভুবন বাম, প্রাজক্তা কলি, ললিতল শকিন, নীতু চন্দ্র, সঞ্জয় মিশ্র, নিধি বিশত, আরজে অভিলাষ ও মানবী গগরু সামিল হয়েছেন এই উদ্যোগে, যেখানে এই ইন্টারনেট কনটেন্ট ক্রিয়েটররা বিভিন্ন স্থানীয় ভাষায়, সহজবোধ্য ভঙ্গিতে এই অসুখ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেবেন শ্রমিকশ্রেণির মধ্যে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কাজ। খুব অল্পদিনের মধ্যেই অনলাইনে চলে আসবে এই ভিডিওগুলি। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক দলগুলি, যাঁরা এলাকায় এলাকায় খাবার ও অন্যান্য ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন, তাঁরা এই ভিডিওগুলি যদি সেই সব মানুষদের দেখান, তবে হয়তো নিম্নবর্গের আরও বহু মানুষ এই রোগ সম্পর্কে সচেতন হবেন।