Aryan Khan Case: জ্বর থাকায় এনসিবির তলবে হাজিরা দিলেন না আরিয়ান খান। রবিবার এই তদন্তকারী সংস্থার নতুন দল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল। কিন্তু জ্বর অনুভব করায় এনসিবি অফিসে যাননি শাহরুখ-পুত্র। তবে কোর্টের নির্দেশ মেনে শুক্রবার তদন্তকারী সংস্থার মুম্বই অফিসে হাজিরা দিয়েছেন। প্রতি সপ্তাহে তাঁকে এই হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। একাধিক অভিযোগ ওঠায় ইতিমধ্যে আরিয়ান মামলা থেকে অপসারিত করা হয়েছে সমীর ওয়াংখেড়েকে। এই মামলার এখন তদন্তের দায়িত্বে সঞ্জয় কুমার সিং। কেস ডায়রি বুঝতে শনিবার দিল্লি থেকে মুম্বই পৌঁছেছেন এই এনসিবি-কর্তা। তারপরেই ডাক পড়েছিল আরিয়ানের।
এদিকে, তোলাবাজির অভিযোগে অবশেষে আরিয়ান খান মাদক কাণ্ডের তদন্ত থেকে সরানো হল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আঞ্চলিক অধিকর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে। গত এক মাস ধরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তাঁকে ঘিরে। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে তদন্তভার থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ে, এমনটাই এনসিবি সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, আরিয়ানের মামলা-সহ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের জামাইয়ের মামলা, অভিনেতা আরমান কোহলি মাদক মামলা-সহ পাঁচটি কেসের তদন্তভার ওয়াংখেড়ের কাছে থেকে নিয়ে দিল্লিতে এনসিবির কেন্দ্রীয় শাখাকে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত এক মাস ধরে তাঁকে ঘিরে যেভাবে দোষারোপ, অভিযোগের পাহাড় জমছিল তাতে অস্বস্তির মধ্যে পড়েন ওয়াংখেড়ে।
ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে এই মামলার অন্যতম একজন সাক্ষী প্রভাকর সায়েল ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন। মন্ত্রী নবাব মালিক তোলাবাজির, ধর্ম লুকিয়ে চাকরি পাওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ তোলেন ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে। ২৫ কোটি টাকা ঘুষের বিনিময়ে আরিয়ানকে ছেড়ে দেওয়ার মতো অভিযোগ ওঠে এনসিবি আধিকারিকের বিরুদ্ধে।
এত চাপানউতোরের জেরে ওয়াংখেড়ে নিজেই নাকি মামলার তদন্তভার থেকে অব্যাহতি চান। তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগে ভিজিল্যান্স তদন্ত চালাচ্ছে এনসিবি। গত মাসে মহারাষ্ট্র সরকার বম্বে হাইকোর্টে জানায়, ওয়াংখেড়েকে তারা গ্রেফতার করবে না আগে নোটিস না দিয়ে। তিন দিন আগে নোটিস দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণের সুযোগ দেওয়ার কথা বলে মহারাষ্ট্র সরকার। হাইকোর্টও ওয়াংখেড়েকে রক্ষাকবচ দেয়।
অপরদিকে, আবারও এনসিবির মুম্বই জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। এবার মন্ত্রীর অভিযোগ, শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে অপহরণের ছক কষা হয়েছিল, যার আন্যতম চক্রী এই দুঁদে তদন্তকারী।
ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযোগে নবাব মালিক জানিয়েছিলেন যে, অর্থ আদায়ের চেষ্টার এনসিবি তদন্তকারী ও বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ আরিয়ান খানকে অপহরণের পরিকল্পনা করেছিলো। সংবাদ সংস্থা এনআইএরর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর দাবি ছিল যে, ‘আরিয়ান খান ক্রজ পার্টির টিকিট কেনেননি, বিষয়টি অপহরণ এবং মুক্তিপণের।’ মালিক বলেছিলেন, ‘ক্রুজে আরিয়ান খানের মতো মানুষদের প্রলুব্ধ করার জন্য এবং পরবর্তীকালে তাদের মাদকের মামলায় ফাঁসানোর জন্য একদল লোকের দ্বারা ষড়যন্ত্র হয়েছিল।’
মন্ত্রীর দাবি, ‘মোহিত কাম্বোজ এবং সমীর ওয়াংখেড়ে ওশিওয়ারা কবরস্থানের বাইরে ৭ অক্টোবর দেখা করেছিলেন। এরপর ওয়াংখেড়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁদের তাড়া করা হচ্ছে। তারা ভাগ্যবান যে কাছাকাছি কোনও সিসিটিভি কাজ করছিল না এবং আমরা ওই সময়কার কোনও ফিড পাইনি।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন