"হার কে জিতনে ওয়ালে কো বাজিগর কহেতে হ্যায়…!" হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয় এই সংলাপ এখন টলিউড নায়িকা সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) জন্য আউড়াচ্ছেন আমজনতা। বলছেন, এই সংলাপ নাকি বর্তমানে তাঁর জন্যই এক্কেবারে প্রযোজ্য। কারণ, প্রথমবারের নির্বাচনী পরীক্ষার্থী আসানসোল (Asansol) দক্ষিণের আসন দখল না করতে পারলেও সেখানকার মানুষের মন জিতে নিয়েছেন। প্রচারের ময়দানে আট থেকে আশি সবার সঙ্গে এমনভাবে মিশে গিয়েছেন অভিনেত্রী, যে তাঁকে এখন পরাজিত প্রার্থী বললেও পাশাপাশি 'ঘরের মেয়ে'ও বলা হয়। আর তাঁর এই সুচারু জনসংযোগের জন্যই আসানসোলের একাংশ এখন সায়নী ঘোষকে চাইছেন প্রশাসনিক পদে।
একুশের নির্বাচনী (West Bengal Assembly Election 2021) ময়দানে একপ্রকার চমক দিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন একদা বাম মনোভাবাপন্ন অভিনেত্রী। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছিস রূপোলি পর্দার নায়িকা কি তৃণমূল স্তরে নেমে কাজ করতে পারবেন? ব্যালট বাক্সের উত্তর সায়নী ঘোষকে বিধায়ক হিসেবে সেই সুযোগ না দিলেও প্রচারের ময়দানে কিন্তু কয়লা খনি থেকে শুরু করে আসানসোলের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে সেখানকার মানুষদের অভাব-অভিযোগ শুনেছেন। ঝড়, জল, রোদও তাঁকে দমাতে পারেনি। নায়িকাসুলভ আচরণ পরিত্যাগ করে সেখানকার মানুষদের আত্মীয় করে তুলেছিলেন গত ১ মাসেই। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি (BJP) প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের (Agnimitra Paul) কাছে ৪ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন। তবে আসানসোল তৃণমূলের তরুণ ব্রিগেড সায়নী ঘোষকে চাইছেন প্রশাসনিক পদে।
কারণ? সেই উত্তরও দিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। সায়নীর প্রচার এবং ব্যবহার তাঁদের মন কেড়েছে। তাই তাঁদের বিশ্বাস সায়নী ঘোষ-ই পারেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই করতে। পাশাপাশি, অভিনেত্রী নিজেও আসানসোলের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন। তাই আসানসোলের কোনও প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব সায়নী ঘোষকে দেওয়া হোক, বলে দাবি তৃণমূলের (TMC) কর্মী-সমর্থক তথা এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের। উচ্চনেতৃত্বের কাছে এই বার্তা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই তাঁরা রাস্তাতেও নেমেছিলেন মমতা-শিবিরের তারকা সদস্য সায়নী ঘোষের ফ্লেক্স-পোস্টার হাতে।