তাঁকে দিয়ে একসময় গান গাওয়াতে ভয় পেতেন পরিচালকরাও। কারণ তিনি আশা ভোঁসলে। সঙ্গীত পরিচালকরা তাঁর কাছে গানের অফার করার আগেই ভাবতেন, কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেবেন তিনি? সেখানেই কিনা তাঁকে নিয়ে বাকি ধরা হয়েছিল।
আশা আর ডি বর্মন জুটি ছিল সর্বকালের সেরা। সঙ্গীতের এক নয়া অধ্যায় শুরু করেছিলেন বর্মন সাহেব। নতুন ঘরানার সুর, বলিউড থেকে টলিউড তখন ভাসছে রাহুল দেব বর্মনের সুরে। সেই তিনিই আশার কাছে গিয়েছিলেন গান নিয়ে কিছুটা ভয় নিয়েই। আশা নিজেই জানান, যে তাঁর মধ্যে একটু হলেও 'আমি আশা ভোঁসলে' বিষয়টা ছিল। সেকারণেই...
গানটি ছিল আজা আজা, ম্যাহু প্যার তেরা...আশা গলা কাপিয়ে গাইতে পারছিলেন না তখন। নানাভাবে প্র্যাকটিস করছেন গাওয়ার। একদিকে, অন্যধরনের গান গাওয়ার বেশ ভয়। উল্টোদিকে রয়েছেন, মোহাম্মদ রফি। একসময় জানতে পারলেন, তাঁকে নিয়ে নাকি বাজি ধরেছেন কর্মকর্তারা! ঘটনা শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি! আশা একদিন রিয়ালিটি শোয়ের মঞ্চে বলেন..
আরও পড়ুন - বলিউড কদর করবে না? আজকের যুগ হলে মুম্বই কাঁপাতেন উত্তম..! দাবি নাতি গৌরবের
আমার আর রফি সাহেবের ওপর ৫০০ টাকা করে বাকি ধরেছিলেন পরিচালক নাসির এবং আর ডি বর্মন। আমি তো খুব ভয়ে। নাসির সাহেব বলেছিলেন, রফি ভাল গাইবে। আর রাহুল দেব বর্মনের ভরসা ছিল আশার ওপর। কিন্তু ভয়ে ছিলেন শিল্পী। দৌড়ে গিয়েছিলেন দিদি লতার কাছে। মনে শঙ্কা, নতুন গান... আশাকে কীভাবে শান্ত করেছিলেন দিদি?
বোনের মনে নতুন গান গাওয়ার এক অনন্য অনুভূতি আন্দাজ করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর ছটফটানি কমাতেই লতা বলেছিলেন, তুমি ভুলে যাচ্ছ! তুমি আশা মঙ্গেশকর প্রহমে, ভোঁসলে পরে। আজ, নব্বই বছর বয়সেও নিজের সুরের জাদুতে মাতাতে পারেন তিনি।