দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে আশিস বিদ্যার্থী, তারপর থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে। কেউ তাঁকে কটূক্তি করছে আবার কেউ বলছে তাঁর নাকি ভীমরতি ধরেছে। ৫৭ বছর বয়সে কেউ বিয়ে করে বলেও যা নয় তাই মন্তব্য করছে। শোনা গিয়েছিল তাঁর এই বিয়ে নিয়ে নাকি একেবারেই খুশি নয় প্রাক্তন স্ত্রী পিলু। তবে আশিস জানাচ্ছেন অন্য কথা।
ছেলে অর্থ নাকি তাঁর দ্বিতীয় বিয়ের পক্ষেই ছিলেন। তবে, অভিনেতার কথায় এসব মোটেই সহজ ছিল না। দ্বিতীয় বিয়ে তো দূর ছেলেকে ডিভোর্সের কথাও বলতে পারেন নি আশিস। তাঁর মধ্যে দিয়ে কী যেতে পারে একথা ভেবেই অনেক চেষ্টা করেছিলেন সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার। তাঁর বিয়ের পরেই অভিনেতা এক সংবাদমাধ্যমে বলেন...
"আমরা কখনোই আমাদের ছেলেকে এরকম জীবন দিতে চাই নি। এ কারণে আমরা খুব গিলটি অনুভব করি। আমাদের মধ্যে আমরা ছাড়াও আমাদের ছেলে ছিল। বুঝতে পেরেছিলাম যে এটা ওকে বরবাদ করে দেবে। আমরা কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারছিলাম না। ঔ বুঝতে পারছিল যে বাবা মায়ের মধ্যে কিছু ঠিক নেই। ধীরে ধীরে চারপাশটা বিষিয়ে যাবে, আমার ছেলেটা এখনও এই ট্রমা থেকে বেরোতে পারেনি যে আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছি।"
আরও পড়ুন < ‘আমার কি মরে যাওয়া উচিত?’ বিয়ের পর থেকেই চূড়ান্ত অশান্তি, নাজেহাল আশিস বিদ্যার্থী! >
এখানেই শেষ নয়। অভিনেতার কথায়, তাঁর ছেলে বেশ যুক্তিবাদী, সহজ কথায় বিশ্বাসী। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গেলেই নাকি আশিস বুঝতে পারতেন যে বয়সের থেকে অনেকটা ম্যাচিওর সে। বললেন, "একসঙ্গে থাকাটা যখন দুর্বিসহ হয়ে যায় তখন তো চেষ্টা করে লাভ নেই। আমরা একসঙ্গে আছি কিন্তু মরার মত, এটা কি আমার ছেলেকে আঘাত দিত না। ওর ওপর কি বাজে প্রভাব পড়ত না?"
ছেলেকে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা বলার আগে অনেকবার ভেবেছিলেন দুজনেই। সমস্তটাই খুব দুঃখজনক বলে সম্বোধন করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, আসামের রূপালী বড়ুয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি। তারপর থেকেই ভয়ঙ্কর বিতর্ক নেটপাড়ায়।