Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

কোয়ারান্টাইন সেন্টার হোক! মুম্বইয়ে হোটেলের দরজা খুলে দিলেন আয়েষা-ফারহান

অভিনেত্রী আয়েষা টাকিয়া ও তাঁর স্বামী ফারহান আজমি দক্ষিণ মুম্বই পুরসভার হাতে তুলে দিলেন তাঁদের হোটেল যাতে কোয়ারান্টাইনে রাখা যায় আক্রান্তদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Ayesha Takia and husband Farhan Azmi offer their Mumbai hotel for quarantine facility

আয়েষা টাকিয়া ও ফারহান আজমি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

করোনা আক্রান্তদের কোয়ারান্টাইনে রাখার কথা বলা হচ্ছে সর্বত্র কিন্তু বিষয়টা অতটাও সহজ নয়। এমনিতেই এই দেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি, বাসস্থানের সমস্যা। সেখানে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকটা হসপিটালে যদি এক একজন আক্রান্তের জন্য এক একটি কেবিন বরাদ্দ করা হয়, তবে অচিরেই স্থান সংকুলানের সমস্যা আসতে বাধ্য। সেই কারণেই হসপিটাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির বাইরেও রাতারাতি তৈরি করা হয়েছে কোয়ারান্টাইন সেন্টার। এবার সেই উদ্যোগে এগিয়ে এলেন বলিউড অভিনেত্রী আয়েষা টাকিয়া ও তাঁর স্বামী ফারহান আজমি।

Advertisment

এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বেশি করোনা-আক্রান্ত রাজ্যগুলির মধ্যে একটি মহারাষ্ট্র। সেখানকার সরকার অত্যন্ত কড়া হাতে সংক্রমণ দমন করার চেষ্টা করছে। মুম্বইয়ে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে আসা রোগীদের সংখ্যা বেড়েছে সম্প্রতি। সরকারের পরিকাঠামো অপর্যাপ্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাতারাতি এত মানুষকে নির্দিষ্ট দূরত্বে রেখে কোয়ারান্টাইন করার জন্য প্রয়োজন আরও অনেক কোয়ারান্টাইন সেন্টার।

আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত সাংসদ-অভিনেত্রীর বাবা, হোম কোয়ারেন্টাইনে মা ও বোন

সেই সব কথা মাথায় রেখেই এগিয়ে এলেন মুম্বইয়ের উদ্যোগপতি ফারহান আজমি এবং তাঁর স্ত্রী, প্রাক্তন বলিউড অভিনেত্রী আয়েষা টাকিয়া। তাঁদের দক্ষিণ মুম্বইয়ের হোটেলটি তাঁরা এই কঠিন সময়ে তুলে দিয়েছেন পুরসভার হাতে, কোয়ারান্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য।

সংবাদমাধ্যম স্পটবয়-কে ফারহান বলেন, ''বৃহনমুম্বই মিউনিসিপাল করপোরেশন ও মুম্বই পুলিশের হাতে আমরা আমাদের হোটেলটি তুলে দিয়েছি এই বিপদের সময় ব্যবহারের সময়। আমাদের হোটেলটা ছোট, আশা করি ভবিষ্যতে সরকারও আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবে।''

এর আগেই শাহরুখ খান ও গৌরী খান তাঁদের চারতলা অফিসটি একই কারণে পুরসভাকে দিয়েছেন ব্যবহারের জন্য। বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নানা ভাবেই এই কঠিন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus Lockdown
Advertisment