সুশান্ত সিং রাজপুতের চলে যাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই নেপোটিজম বা স্বজনপোষণ ও 'বুলিইং' নিয়ে উত্তাল বানিজ্য নগরী। এবার কাজের জায়গায় বুলিইং বা হেনস্থা নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন অভিনেত্রী আয়েশা টাকিয়া। ফ্যানেদের উদ্দেশ্য করে বললেন, আশেপাশের কোনও প্রিয় মানুষ যদি এই রকম অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যান, তাহলে তাঁদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা উচিত। উল্লেখ্য, ১৪ মে বান্দ্রায় নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের নিথর দেহ।
অভিনেতার অকাল প্রয়াণ উস্কে দিয়েছে বলিউডের অন্দরের অনেক অন্ধকার দিক নিয়ে বিতর্ক। বলিউডের মধ্যে নেপোটিজমের বাড়বাড়ন্ত এবং বহিরাগতদের লড়াই নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন নেটিজেনরা।
২০০৪ সালে 'টারজান: দ্য ওয়ান্ডার কার' ছবি দিয়েই বলিউডে প্রবেশ করেন আয়েশা টাকিয়া। এরপর 'সোচা না থা', 'সলাম-এ-ইশক', 'সানডে' এবং 'ওয়ান্টেড'-এর মতো ছবি করেছেন তিনি।
এদিন কারও নাম না নিয়ে আয়েশা বলেন, "আমি নিজেও অনেক ট্রোলিং এবং কাজের জায়গায় বুলিইংয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। যদি এই বিষয়ে কথা বলতে পারতাম... কিন্তু এখন আমি বলতে চাই, দয়া করে কেউ যদি আপনাকে ছোট করার চেষ্টা করে, অকর্মণ্য মনে করানোর চেষ্টা করে, তাহলে রুখে দাঁড়ান।"
আরও পড়ুন: ‘নিজেকে ক্ষমা করুন। অন্যকেও’, কেন বললেন সুশান্তের দিদি?
২০০৯ সালে সমাজবাদী পার্টির নেতা আবু আজমির পুত্র ফারহানের সঙ্গে বিয়ে, এবং ২০১১ সালে 'মোড়' ছবির পর বলিউড থেকে কার্যত সরে দাঁড়ান ৩৪ বছরের আয়েশা। পরিচালক নাগেশ কুকুনুরের সঙ্গে এই ছবি করেছিলেন তিনি। এর আগে এই পরিচালকের সঙ্গেই 'ডোর' এবং '৮ x ১০ তসবীর' ছবিতেও কাজ করেন অভিনেত্রী।
মঙ্গলবার আয়েশা লেখেন, "দয়া করে বিশ্বাস করুন, আপনি অসাধারণ ও অনন্য। এই জায়গার জন্যই আপনি তৈরি এবং নিজের জায়গার জন্য লড়াই করুন। আপনি উজ্জ্বল ও আলাদা, ওদের জিততে দেবেন না। কারও সঙ্গে কথা বলুন। তাদের কাছে যান।"
অভিনেত্রী আরও বলেন, "মাঝে মধ্যে কঠিন মনে হয় ঠিকই, কিন্তু কেউ যদি সমস্যায় থাকে, কোনও মানুষকে খুঁজতে থাকুন যে কথাটা শুনবে এবং বুঝবে।
''পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমাদের এই বিশ্বকে ভাল করতে হবে। তাদেরকে আমাদের ভালবাসা ও আদর এগিয়ে নিয়ে যাবে। দয়া করে মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন, একটু সেনসিটিভ হন, কারণ আপনার কোনও ধারনা নেই কোন কঠিন পথের মধ্যে দিয়ে সে যাচ্ছে।'' এই পোস্টের তিনি নাম দেন, 'বুলিইং কী'?
সূত্রের খবর, মুম্বই পুলিশ সুশান্ত সিং রাজপুতের (৩৪) প্রয়াণের তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পেরেছে, অবসাদের কারণে তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন