Ayushman Khurrana on RG kar incident: হতাশ! আমিও যদি ছেলে হতাম... গতকাল রাতে গর্জে উঠেছিল কলকাতা থেকে মফস্বল। শহরে নানা প্রান্তে রাত দখলের দায়িত্ব নিয়েছিল মেয়েরা। কিন্তু সেই দখল অন্যদিকে মোড় নিল। আর জি করের এমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টের যে হারে ভাঙচুর চালানো হলো, তাতে প্রশ্ন উঠছে অনেক।
গতকাল শহরে রাস্তায় নির্ভয়ে মেয়েরা, হেঁটে দেখলো। কিন্তু আরজিকর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনায়, আজ স্বাধীনতার দিনে এক বিরাট প্রশ্ন উঠছে, কে করল এবং কারা করল এই ঘটনা? একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে সেমিনার হলে ফেলে রাখার প্রতিবাদে আওয়াজ তুলেছিল গোটা শহর। আজ আমরা সত্যিই স্বাধীন নয়। সে কথাই যেন বারবার মনে করিয়ে দিল গতকাল রাতের এক নির্মম ঘটনা।
শেষ কিছুদিন ধরেই, আওয়াজ তুলেছিলেন টলিপাড়ার তারকারা। গতকাল রাতে শুভশ্রী গাঙ্গুলী সোহিনী সরকার, এবং অনেকেই। তাদের প্রশ্ন ছিল এরপর কী? আজ রাতে তো আমরা হেঁটে বেড়ালাম, কিন্তু কাল কী হবে। আর এবার এই নিয়ে, কবিতার ছন্দে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আয়ুষ্মান খুরানা ( Ayushman Khurrana )। অভিনেতা, আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং কোনভাবেই ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না। যেখানে নতুন ভারতে নারীদের সুরক্ষা নেই, এখানেই তিনি একটি কবিতা বেধেছেন।
অভিনেতা বলছেন, "আমিও দরজা না লাগলেই শুতাম যদি আমি ছেলে হতাম। পাগলের মতন সারারাত বন্ধুদের সঙ্গে দৌড়ে বেড়াতাম ঘুরে বেড়াতাম, যদি আমি একটি ছেলে হতাম। অনেককে বলতে শুনেছি যে মেয়েদেরকে পড়াও, শেখাও তৈরি করো। এবং তারপর যখন সে পড়ে লিখে একজন ডাক্তার তৈরি হবে, মায়ের যেন চোখের মনি হারিয়ে না যায়। যদি আমি একটি ছেলে হতাম। ছত্রিশ ঘন্টা লাগাতার অন্যায় হলো, শ্লীলতাহানি হল! যদি ওই পুরুষের পৌরুষত্বের ক্ষমতায় নারীদের একটু কোমলতা থাকতো, যদি সত্যিই আমি একজন ছেলে হতাম।"
অভিনেতা আরো বললেন, "বলছেন নাকি সিসিটিভি ছিলনা। থাকলেই বা কি হত? একজন পুরুষ যে সুরক্ষা প্রদান করে, তাঁর নজর টা কি পরিষ্কার হতো? যদি একটা ছেলে হতাম, তাহলে আর যাই হোক আমি বেঁচে থাকতাম।"
বাংলার মানুষ ধিক্কার জানিয়েছেন এই নক কাটানো ঘটনায়। এর আগের দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের পাশাপাশি তেলেঙ্গানার একজন ডাক্তারের ধর্ষণের ঘটনাতে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়েছিল গোটা দেশ। কিন্তু প্রশ্ন একটাই? শেষ কোথায়?