/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/05/baaghi-2025-09-05-15-54-43.jpg)
কেমন হল এই ছবি?
একসময় বাঘি মানে ছিল- যে সিস্টেমের বিরুদ্ধে দাঁড়াতো। তারপর অবশ্যই সিস্টেম জিতে যেত। কিন্তু বাঘি ৪-এ এসে সেই নিয়মটাই যেন উল্টে গেছে। এখানে সিস্টেমের কোনও অস্তিত্বই নেই। শুধু রনি (টাইগার শ্রফ) অসংখ্যবার লড়াই করবে, রক্ত ঝরবে, হাড় ভাঙবে, আর সবশেষে সে দাঁড়িয়ে থাকবে- অবশ্যই শার্ট ছাড়া অবস্থায়। রনির প্রেম বিপদে পড়া এক মহিলাকে ঘিরে, যাকে বাঁচানোর জন্যই তার লড়াই।
এই চতুর্থ কিস্তির টুইস্ট হল- আলিশা (সন্ধু), যার জন্য রনি এত উদ্বিগ্ন, সে হয়তো রনির কল্পনারই ফসল! রনির ভাই দীপু (তালপাড়ে), একজন সাধারণ মেকানিক, তাদের জন্য সর্বদা চিন্তিত। কিন্তু তিনি কোনওদিন আলিশাকে দেখেননি। অন্যদিকে, রনির জীবনে আছে অনেক রহস্য। আলিশাকে নিয়েও অদ্ভুত কিছু রহস্য আছে। কারণ সে যেখানেই যাক—কার্নিভালের মঞ্চ হোক বা হাসপাতালের ওয়ার্ড—সেখানেই অসাধারণ কিছু করে দেখায়। একদিকে সে নিখুঁত প্রতিকৃতি আঁকতে পারে, আবার বিশাল এক প্রাসাদে থাকে যেখানে তার বোন অনেকগুলো বাচ্চা লালন-পালন করছে। যদিও ছবিতে সেই বাচ্চাদের খুব একটা দেখা যায়নি।
ছবির কাহিনি চন্দারা নামক এক কাল্পনিক শহরে, যেখানে নিয়মিত কার্নিভাল হয়, পাহাড় আর সমুদ্র গাড়িতে চাপলেই কাছে চলে আসে। এবং কোথাও না কোথাও ধাতব মুখোশ পরা পুরুষদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলতে থাকে। এই শহরের এক কোণে থাকে স্বঘোষিত “শয়তান”—সঞ্জয় দত্ত। বিশাল প্রাসাদে তার বাস। পোষা বাঘ, মখমলের জ্যাকেট তার রোজকার পোশাক, আর দেয়ালে নিজের প্রতিকৃতির ভিড়- সঞ্জু বাবা এখানে খুব সাস্পিসিয়াস।
রনির অতীতেও আছে কিছু রহস্য। একসময় সে “ডিফেন্স সি ফোর্সেস”-এর সদস্য ছিল। সেই সময়েই আলিশার নতুন ফোন ব্যবহার করে এক মাদকাসক্তকে ধরে সে টপ নচে উঠে বসে। ছবির মূল আকর্ষণ অবশ্যই টাইগার শ্রফের অ্যাকশন, তারপরে সঞ্জয় দত্তের ‘ডেভিলিশ’ হাসি। চরম পর্যায়ে গিয়ে ছবিটি এমন সব ডায়লগ শোনায়, যা মন খারাপ করে দেবে। যা শোনার পর বোঝা যায়, বলিউডে চাকু আসলে চকোর শর্ট ফর্ম! শেষ পর্যন্ত, যেমন আগেও হয়েছে, সিস্টেমই জেতে।
বাঘি ৪ সিনেমার কাস্ট: টাইগার শ্রফ, সঞ্জয় দত্ত, সোনম বাজওয়া, হারনাজ সান্ধু, শ্রেয়াস তালপাদে
বাঘি ৪ সিনেমার পরিচালক: এ হর্ষ
বাঘি ৪ সিনেমার রেটিং: ১