তারকাদের প্রেমের মরশুম কতই না সুখকর হয়। বিয়ের আগে হোক কিংবা বিবাহ পরবর্তী, প্রেমের জন্য কত কিছুই না করতে হয়। এমনকি এই অনন্য পর্যায় থেকে বাদ পড়েননি বাবুল সুপ্রিয় নিজেও। বিয়ের পরে হানিমুনের খাতিরে দৌড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদীর কাছে।
বাড়িতে সদ্য বিবাহিত বউ, তাঁকে হানিমুনে না নিয়ে গেলে চলে? এদিকে, বাবুল তখনই যোগ দিয়েছেন রাজনীতিতে। কী করে ম্যানেজ করবেন? ছুটি নিয়ে পড়েছিলেন বেজায় সমস্যায়। কিন্তু হাল ছাড়েন নি। বরং প্রথমে অনুরোধ করেছিলেন অরুণ জেটলিকে। সোজা বলে বসেন, "আমায় একটু হানিমুনের জন্য ১০ দিনের ছুটির ব্যবস্থা করে দিন"। কিন্তু, বেশকিছুদিন পর তিনিও হাল ছেড়ে দেন। প্রধানমন্ত্রীকে কী বলবেন, এটা ভেবে পাচ্ছিলেন না। অবশেষে..
আরও পড়ুন < সুদীপার নাম নিয়েই ‘ভুয়ো’ ব্যবসা! বদনাম থেকে বাঁচতে আলোড়ন ফেললেন ‘রান্নাঘর’ কর্ত্রী >
একথা 'দাদাগিরির' মঞ্চে স্বীকার করেছিলেন বাবুল নিজেই। বলেন, "আমায় অরুণ সাহেব জানান কীভাবে আমি ছুটির কথা বলব প্রধানমন্ত্রীকে। হানিমুনের কথা বলা যায়? আমি বুঝলাম যে হবে না। তাঁর থেকে বরং একটাই কাজ করি আমি নিজেই যাই। আমি অপয়েনমেন্ট নিয়ে গেলাম। সমস্ত কাজের কথা শেষে একটাই কথা বললাম, স্যার আমায় দশটা দিনের ভ্যাকেশন দিতে পারবেন? আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের পর ঘুরতে যেতে চাই। উনি এসেছিলেন আমার বিয়েতে। অনেক ভাবার পর বললেন আচ্ছা, কোথায় যাবেন? দশদিক শুনে একটি গাঁইগুঁই করেন কিন্তু রাজি হয়ে যান।"
আরও পড়ুন < প্রকাশ্যে শুটিং সেটে ঠ্যাং তুলে দিচ্ছেন মিঠুন! কিন্তু কিসের লোভে? >
দশদিনের জন্য বউকে নিয়ে গিয়েছিলেন সুইজারল্যান্ড। তারপর ফিরে এসে আর বিরতি পাননি তিনি। বিয়ের পরের গল্প তো এই, কিন্তু বিয়ের আগেও স্ত্রীকে মানাতে ভয়ঙ্কর কান্ড করেছিলেন বাবুল। আপাতত, রাজনীতির মঞ্চে তিনি দল পাল্টে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে।