মাথায় ফেজ টুপি, কানে ফোন, ভ্রু কুঁচকে- একটু চিন্তিতই দেখাচ্ছে অভিনেতাকে। শনিবার মুর্শিদাবাদ জেলার সারগাছির কাছে বাদশা মৈত্র-র এই ছবি দুটিই ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাদশার পেছনে উত্তেজিত জনতা, আগুন জ্বলছে। শুধু নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তা নয়, সঙ্গে জুটেছে কুৎসা। তিনি নাকি বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এমনই মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ''ডোমকলে ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা সম্মেলন চলছিল। সেখানেই অতিথি হিসাবে বক্তৃতা দিতে যাওয়ার ছিল। যাওয়ার পথে সারগাছির কাছে রাস্তা অবরোধ পাই। গাড়ি থেকে নেমে ওদের সঙ্গে কথা বলি যদি রাস্তাটা ছেড়ে দেয়। কিন্তু তারা রাজি হননি। তখন ওখানে দাঁড়িয়ে ডিওয়াইএফআইয়ের লোকাল ছেলেদের ফোন করি। ওরা তখন স্থানীয় লোক পাঠান যাঁরা গ্রামের ভিতর দিয়ে ডোমকলের দিকে এগিয়ে দেয়। এটাই মূল বিষয়। কিন্তু ওই যে দাঁড়িয়ে ফোন করছিলাম সেই ছবি তুলে সঙ্গে ফেজ টুপির গল্প জুড়ে খবর চাউর করা হয়। এটা কোনও ভুল নয়, ইচ্ছাকৃত করা হয়েছে।''
আরও পড়ুন, মেয়ে এবং বৌমার মধ্যে ফারাক কী? বললেন শর্মিলা ঠাকুর
ডোমকল থেকে ফেরার পথেই সাইবার ক্রাইম সেলে অভিযোগ জানান বাদশা। তাদের তরফ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন অভিনেতা। তিনি এদিন বলেন, ''নোংরা ভাষায় আক্রমণ আজকাল তো সংস্কৃতি পশ্চিমবঙ্গের। আমি নিজের সোশাল অ্যাকাউন্ট থেকে, সংবাদমাধ্যমের দ্বারা মানুষকে সঠিকটা জানানোর চেষ্টা করছি। একটা কিছু গন্ডগোল করার জন্যই বিষয়টা তৈরি করা হয়েছে। আর এটা তো ঘটনা এর আগেও যখন বাবরি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে কেউ দাঁত ফোটাতে পারেনি। বাম মনোভাবাপন্ন মানুষদের সম্পর্কে এই ধরণেই মন্তব্য করা তো মুশকিল। তাই আমার খুব স্পষ্ট বক্তব্য ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনাটা তৈরি করা হয়েছে।''
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকেই ট্রেন আটকে ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সিএবি-র প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অঞ্চল। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রেন। কার্যত স্তব্ধ জনজীবন।