বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির 'বালিকা বধূ'। ১৯৬৭ সাল। মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের (Moushumi Chatterjee on Tarun Majumdar's Demise) তখন কাঁচা বয়স। তরুণ মজুমদারের হাত ধরেই লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের জগতের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। অভিভাবকের মতোই শাসন করতেন, ভালবাসতেন মৌসুমীকে। আজ সেই পরিচালকের প্রয়াণে (Tarun Majumdar Death) মুম্বই থেকেই স্মৃতির সরণিতে ফিরে গেলেন 'বালিকা বধূ' রজনী ওরফে মৌসুমী।
দেখা হয়নি বহুদিন। তবুও কয়েক দশক আগেকার স্মৃতি যেন আজও মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের মনের গহীনে টাটকা হয়ে আছে। 'বালিকা বধূ'র (Balika Badhu 1967) শুটের সময় কী বকুনিটাই না খেতেন তরুণ মজুমদারের কাছ থেকে! নস্ট্যালজিক মৌসুমী বললেন, "আরও একবার পিতৃবিয়োগ হল। আমার বাবা, শ্বশুরমশাই হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তরুণ মজুমদারেরও অপরিসীম অবদান আমার জীবনে। উনি-ই তো আমাকে সিনেজগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।"
<আরও পড়ুন: ‘বাবা চলে গেল! আমার নাম তরুণ মজুমদারেরই দেওয়া’, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন দেবশ্রী>
"তনুকাকু আমাকে বড় মেয়ে বলতেন। 'বালিকা বধূ'তে কাজ করার সময়ে কোনও ভুল দেখলেই আমাকে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখতেন। কাজ শেষে সেট থেকে সবাই একে একে চলে যাচ্ছেন, আর আমি কান ধরে দাঁড়িয়ে আছি। খুব কষ্ট হত। কত বকুনি খেয়েছি তখন। তবে ওঁর স্নেহ পেয়ে আমি ধন্য। খুব ভালবাসতেন আমাকে", বললেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
'বালিকা বধূ' ছাড়াও তরুণের 'ভালবাসার অনেক নাম' সিনেমায় অভিনয় করেছেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। খুব ছোট তখন তিনি। 'বালিকা বধূ'র শুটিংয়ের সময় সিনেমার লুকেই সেট থেকে বাসে করে পালিয়েছিলেন। বছর খানেক আগে ঋতুপর্ণ ঘোষের চ্যাট শোয়ে এসে সেকথাও ফাঁস করেন অভিনেত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন