Bangladesh Protest: সহজ কথা, আর রক্ত দেখতে চাই না..', ওপার বাংলার ভয়ংকর পরিস্থিতি নিয়ে এটি কেমন তাই জানিয়েছেন অভিনেতা মশাররফ করিম। তিনি যোগ দিয়েছিলেন আন্দোলনে। দেশকে নতুন রূপে স্বাধীনতার পাশাপাশি ছাত্রদের দাবি যাতে পূর্ণ হয় এমন কথাই বলেছিলেন। আর এবার তো নিজের আতঙ্কের কথাই প্রকাশ্যে বলে ফেললেন।
শেষ দু'দিন ধরে বাংলাদেশের অন্দরে যা অবস্থা, তাতে শিউরে উঠতে হয়। প্রায় ৩০০র বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। হাতাহাতি রক্তরক্তির পাশাপাশি শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর, গণভবনের চিত্রই একদম পাল্টে গিয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে আর অবশিষ্ট কিছুই নেই। সকলেই কিছু না কিছু জিনিস নিয়ে নিজেদের বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।
এর পাশাপাশি গোটা বাংলাদেশ ঘিরে বিশৃংখল অবস্থা। যে চিত্র নজর এসেছে মন্দির ভাঙ্গনের পাশাপাশি হিন্দুদের ওপর আঘাত এবং আরও নানান মন্তব্য, সবটাই দেখেছে গোটা বিশ্ব। অন্যদিকে আবার তো দেখা গিয়েছে, যে মন্দির পাহারা দিচ্ছেন সেদেশের মুসলিম ভাইরা। কিন্তু পরেও রক্ত ঝরার ঘটনা একেবারেই ভুলতে পারছেন না মোশাররফ করিম। অভিনেতা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন এসব আর সহ্য হচ্ছে না তার। অতিরিক্ত চিন্তায় টেনশনের রোগী হয়ে যাচ্ছেন তিনি।
তাকে বলতে শোনা গেল, "শান্তি চাই। আপনারা কেউ চান এই রক্তঝরা দেখতে? নিশ্চয়ই চান না। আমিও তাই একই রকম আর এসব দেখতে ভালো লাগছে না। শান্তিতে থাকতে চাই। এই খুন-রক্তঝরা এসব দেখে রোগী হয়ে যাচ্ছি। হাইপারটেনশন ধরে যাচ্ছে। সহজ কথা, আর রক্ত চাই না।"
উল্লেখ্য মোশারফ করিমের পাশাপাশি সে দেশে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন অনেক তারকারা। সেই তালিকায় আজমেরি হক বাধন থেকে রয়েছেন মিথিলা এবং অন্যান্যরাও। গত সোমবার তারিখ, বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা অর্জন করেছে বলেই সেখানকার মানুষের বক্তব্য। ছাত্র আন্দোলনে জয় হয়েছে দেশের। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। সেনাবাহিনীর তরফে সেনাপ্রধান জানিয়েছিলেন, সমস্ত খুনের বিচার করা হবে। শুধু দেশের মানুষকে পাশে চাই।
গতকাল থেকে সবই প্রায় খুলে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের তরফে। আজও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নোটিশ মিলেছিল। দেশ বিজয় উৎসবের পাশাপাশি, মেতে উঠেছে, হাসিনা রাজ শেষ হওয়ার আনন্দে।