/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/05/yash1-2025-10-05-15-43-14.png)
কী বলছেন তসলিমা...
বাংলাদেশের যশ রোহণ, তিনি এখন বেজায় সমস্যায় পড়েছেন। তাঁর থেকেও বড় কথা, তাঁর পরিচয় কিংবা ধর্মীয় দিকে যে তিনি হিন্দু একথা সত্যিই কেউ জানতেন না? নাকি প্রতি বছর তাঁকে একই আলোচনার মধ্যে পড়তে হয়? বাংলাদেশের চর্চিত অভিনেতা বিজয়ার পর মা দুর্গার সামনে দাঁড়িয়ে, একটি ছবি শেয়ার করেন। কপালে লাল তিলক, আর এই হিন্দু অভিনেতাকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে সেদিন থেকেই।
এমনকি, সেই দেশের ইসলাম ধর্ম অনুসরণকারীরা এমনও বলেন, তাঁরা নাকি রোহণের নাটক আর দেখবেন না। যদিও সেদেশের অনেক নাগরিক এমনটাই দাবি করেছেন শিল্পীর ধর্ম আর জাত হয় না। এদিকে, আরেক সেদেশের বিতর্কিত গায়িকা- তসলিমা নাসরিন, তিনি দাবি করেছেন বাংলাদেশে হিন্দু নায়কদের নিয়ে সমালোচনা কিংবা তাঁদের কাঁটাছেঁড়া করার ঘটনা এই প্রথম না। বরং আগেও এক হিন্দু তারকাকে নিয়ে নানা কিছু হয়েছে।
তিনি আর কেউ নন বরং চঞ্চল চৌধুরী। এই অভিনেতার মা-কে সিঁদুর পড়তে দেখেই নাকি একবার শুরু হয় ভয়ঙ্কর কাণ্ড, তসলিমা নিজের সমাজ মাধ্যমেই সেই প্রসঙ্গে লিখেছেন। তিনি যশের ঘটনায় যেন আবার করে ফিরে গেলেন সেসব দিনে। তাঁর কথায়, চঞ্চল চৌধুরীকে তারা ভালবেসেছিল। কারণ চঞ্চলের অভিনয় তাদের ভাল লেগেছিল। চঞ্চলের গানও ভাল লেগেছিল তাদের। তারপর যখন ফেসবুকে চঞ্চলের ছবি দেখলো তাঁর মায়ের সঙ্গে, যে মায়ের সিঁথিতে ছিল সিঁদুর, তখনই চঞ্চলের প্রতি যত ভালবাসা ছিল উইথড্র করে নিল। তারা বিশ্বাসই করতে পারলো না চঞ্চল হিন্দু। তারা তুই-তোকারি করতে লাগলো চঞ্চলকে, গালি দিতে লাগলো, ঘৃণা ছুঁড়তে লাগলো।"
যশের ঘটনা তাঁর নজর এড়ায়নি। তাঁর পরিচয় নিয়ে যে কাদা ছোঁড়া হচ্ছে, তাতে তিনি বলছেন, এরপর যশ রোহান যখন ছবি পোস্ট করলো দুর্গা প্রতিমার সঙ্গে, কপালে তিলক বা সিঁদুর। তারা অবাক। তারা তো যশকে ভালবাসতো। যশের অভিনয় ভাল লাগতো তাদের! এখন কী হবে? কী করে এখন ভালবাসবে যশকে, যশ তো হিন্দু! যশের জন্য যত ভালবাসা ছিল, মুহুর্তে উইথড্র করে নিল। তারা বিশ্বাসই করতে পারলো না যশ হিন্দু। তারা তুই-তোকারি করতে লাগলো যশকে, গালি দিতে লাগলো, ঘৃণা ছুঁড়তে লাগলো।" কিন্তু এখানেই থামলেন না তিনি। বরং বলছেন...
"এই হলো বাংলাদেশের একটা বড় সংখ্যক মুসলমানের চরিত্র। এই চরিত্রগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কী করে গড়া যাবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ! কারও কোনও আইডিয়া থাকলে জানান।"