Pori Moni-Bangladesh: বাংলাদেশের শেষ কিছু মাসে পরিস্থিতি ঠিক কী জায়গায় গিয়েছে, এই নিয়ে অনেকেই জানেন। বিশেষ করে শেখ হাসিনার পতনের পর, নানা কাণ্ড-কারখানা শুরু হয়েছে। এবার, র্মীয় ডামাডোলের শিকার পরীমণি নিজেও। সমাজ মাধ্যমে তিনি এমনিও সক্রিয়। আর তিনি সাহস করেই যে একথা লিখেছেন, তাতেও প্রসংশা পাচ্ছেন তিনি।
কী ঘটেছে আসলে? সুত্র বলছে, সেদেশের কট্টর মৌলবাদীদের জেরেই কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। পরী সমালোচনার শিকার হলেও বাস্তব জীবনে বেশ পজিটিভ। কিন্তু, তিনি যা লিখেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, অভিনেত্রী মানসিকভাবে বেশ ভেঙে পড়েছেন। এবং, তিনি বেশ কিছু প্রশ্ন করেছেন। কিন্তু কেন হঠাৎ নিজেদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করছেন তিনি?
জানা যাচ্ছে, শাকিব খানের একটি ব্র্যান্ডের নতুন শোরুম লঞ্চ হওয়ার কোথা ছিল। কিন্তু, সেখানেই তিনি বাঁধা পান। এর আগেও বহু চিত্র নায়িকা সেদেশে হেনস্থার শিকার হয়েছেন। কেউ কেউ নিজের নিরাপত্তার খাতিরে বেশ অনেকটা সময় চুপ করেও ছিলেন। কিন্তু, এবার তিনি মুখ খুলেছেন। যার কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারির পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এবং জানা যাচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে পুরনো একটি ঘটনার বিচার শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাক স্বাধীনতা যে ধ্বংসের মুখে একথাই বলছেন বেশিরভাগ। গতকাল রাতে, অভিনেত্রী সমাজ মাধ্যমে লিখছেন...
"এতো চুপ করে থাকা যায় নাকি!!!পরাধীন মনে হচ্ছে। শিল্পীদের এতো বাধা কেন আসবে!? Insecure feel হচ্ছে! এমন স্বাধীন দেশে নিরাপদ নই কেন আমরা! মেহজাবীন, পরশী এর আগে এমন হেনস্থার শিকার হয়েছেন! ধর্মের দোহাই দিয়ে কি প্রমাণ করতে চলেছেন তারা!?" একথা অনেকেই জানেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেকেই দাবি করেছিলেন যে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছে। অনেক তারকাই সেসময় পথে নেমে স্বাধীনতা উপভোগ করেছিলেন। আবার অনেকে বেশ ভয়েও ছিলেন। কিন্তু, এসব করে, গোঁড়ামির জেরে শিল্পের ক্ষতি হচ্ছে বলেই দাবি পরীর। তিনি আরও লিখছেন..
"কি বলার আছে আর ….এ দেশে সিনেমা/ বিনোদন সব বন্ধ করে দেয়া হোক তাহলে! তাহলে কি আমরা ধরে নেব, আমরা ইমোশনালি ব্যবহার হয়েছিলাম তখন! নাকি এখন হচ্ছি? কোনটা ??? এই দায়ভার কিন্তু আমাদের সবার নিতে হবে। " প্রসঙ্গে, এপার বাংলায় ছবি রিলিজ হয়েছে তাঁর। ফেলুবক্সিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, ভিসার সমস্যার জন্য তিনি আসতে পারেননি, সেকারণে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী।