Tollywood stars on Bangladesh protest: ১৯৭১ এর দেশ স্বাধীনের গল্প বইয়ের পাতায় পড়লেও এই প্রজন্ম ২০২৪ সালে একটা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে ফেলেছে বাংলাদেশে। পদ্মাপাড়ের বহুদিনের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। ফলেই, সেদেশ আবার নতুন করে স্বাধীন।
ওপার বাংলায় রাস্তা জুড়ে লাল সবুজ পতাকা, বিজয় মিছিল। গণভবনে হানা দিয়ে, একের পর এক জিনিষ তাঁরা বের করে এনেছেন। সেসব ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সূত্রের খবর, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসেছেন। এখান থেকেই তাঁর অন্যত্র যাওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু, বাংলাদেশের এই নৌজ সূর্যোদয়ে যেমন সেদেশের তারকারা আনন্দিত, তেমনই এপার বাংলার বেশ কিছু তারকাও গা ভাসিয়েছেন এই নবজোয়ারে।
জয়জিত বন্দোপাধ্যায় সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশ, জনতা শেষ কথা। অন্যদিকে, আবার বর্তমানে ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয় মুখ লোকনাথ দে লিখছেন, "দেশটা কারো বাপের না..."বাংলাদেশ..!!বাঙালীকে আবার গর্বিত করলে..!!! সালাম!!" পাশাপাশি তিনি সেদেশের সহ অভিনেতাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন। মুখ খুলেছেন এপার বাংলার সুপারস্টার জিৎ। তিনি লিখছেন, "বাংলাদেশের এই কঠিন সময়ে আমার প্রার্থনা বাংলাদেশের মানুষদের জন্য। যে সমস্ত ঘটনা সামনে আসছে সেটা খুবই দুঃখজনক। এই ধরনের মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী হওয়া হৃদয়বিদারক। আশা করি এই কঠিন সময় খুব তাড়াতাড়ি পেরিয়ে যাবো। প্রতিটা জীবনই মূল্যবান তাই যে কোনও মূল্যে সেটা রক্ষা হওয়া আবশ্যিক। শান্তি বজায় থাকুক।"
অন্যদিকে, বিজয়ের অনন্য দিনেও মজা করতে নাকি রাখলেন না অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। তিনি লিখছেন... "ইতিহাস সাক্ষী আছে । বার বার সাক্ষী আছে , ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করতে নেই । যে মুহূর্তে আপনি ভাববেন আপনি অপরাজেয় , ঠিক সেই মুহূর্ত থেকে আপনার পায়ের তলার মাটি নরম হতে শুরু করবে তারপরে কখন যে দেশ চোখপাল্টি করে দেবে আপনি ধরতেও পারবেন না । এটা আমাকে আমাদের বাড়ির দারোয়ান সনাতন ফোন স্ক্রল করতে করতে বলল । আমি বললাম তোমার চোখটা গেছে ঠিকই , কিন্তু বুদ্ধি আছে মাথায়ে । গেটটা খোলো ।"
এখানেই শেষ না। দেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু সেই আনন্দে দেশের সম্পদ যেন নষ্ট না হয়, দেশের মানুষ যেন আর না মরে, ধর্ম নিয়ে যেন খেলা না হয়, এমনটাই বলেছেন পরিচালক ফারুকী। তিনি লিখছেন... "বিজয়ের আনন্দ অবশ্যই করবো! কিন্তু এখন সময় সংযমেরও, চোখ কান খোলা রাখারও। আমরা ২০ বছর প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখেছি। প্রতিহিংসার উত্তর দিবো আমরা কাইন্ডনেস এবং এমপ্যাথি দিয়ে। পাশাপাশি আমরা চোখ খোলা রাখবো আগামী দুই তিন দিন। নিশ্চয়ই আমরা একটা মানবিক গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের দিকে এগিয়ে যাবো। লাস্টলি, স্যালুট টু বাংলাদেশী ইয়ুথ অ্যান্ড পিপল ফ্রম অল ওয়াকস। টুগেদার উই স্ট্যান্ড টল।"
আর ফারুকীর এই মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন অনেকেই। ঋদ্ধি সেন থেকে অনিন্দিতা রায়চৌধুরী, অনেকেই সহমত।