ছাত্রর রক্ত ঝরছে বাংলাদেশে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি কর্মজগত থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে। আলোড়ন এবং আন্দোলনের ইতিহাস তৈরী হল বাংলাদেশের অন্দরে। দেশের কোটা সংরক্ষন আইন নিয়ে প্রাণ যাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের।
আর দেশে যখন এহেন পরিস্থিতি, তখন সেদেশের তারকাদের যেন চোখের জল বাঁধ মানছে না। বুক পেতে গুলি খেল আবু সায়েদ, এই অসহায় দৃশ্য দেখে কাঁদছেন অপূর্ব থেকে চঞ্চল চৌধুরী। তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচার চাইলেন, কলম ধরলেন।
অপূর্ব ( Ziaul Faruq Apurba ) লিখছেন, "সংঘাত রক্তপাতে কোন সমাধান আসে না৷ শিক্ষার্থীদের কথাগুলো শুনে তাদের সাথে কথা বলে যুক্তি তর্ক দিয়ে কি সমাধান হয়না? আমাদের কি কথা বলার মত কারো মুখ নেই? কথা শোনার মত কান নেই? সাধারন শিক্ষার্থীদের উপর আঘাত করা হচ্ছে তারা আমাদেরই কারো না কারো সন্তান, ভাই বোন বন্ধু সহপাঠী। আমার করজোড়ে অনুরোধ, দয়াকরে সকল প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসুন, সকল ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটুক অতি দ্রুতই। আর রক্ত দেখতে চাইনা, আর কারো প্রাণ যাক চাইনা। চাইনা আর কোন বাবা-মা এর কোল খালি হোক। সংঘাত চাইনা। সমাধান উপহার দিন৷ Violence is never the answer.."
অন্যদিকে কাজের সুত্রে অনেকদিন দেশের বাইরে রয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী ( Chanchal Chowdhury )। কিন্তু দেশের এহেন পরিস্থিতিতে তিনি যেন মেনে নিতে পারলেন রাজপথের রক্তাক্ত করিডোর! দাবির সঙ্গে লিখলেন… "পেশাগত কাজে প্রায় বিশ দিন আমেরিকা থাকার পর গতকাল রাতে ঢাকায় ফিরেছি। সেখানে বসে এই কয়দিন নিউজ গুলো দেখে হতবাক হয়েছি…..হয়েছি শোকাহত!!!!সমাধানের অন্য কোন পথ কি খোলা ছিলো না??? গুলি কেন করতে হলো???? বুকের রক্ত না ঝড়িয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেতো না??? যা ঘটে গেলো এটা যেমন মোটেও কাংক্ষিত নয়, বিষয়টা তেমনি হৃদয়বিদারক,মর্মান্তিক এবং সভ্যতা বর্হিভূত!"
কথায় বলে, কবিতা এবং গান সবথেকে বেশি আন্দোলনের পরিভাষা বদলে দিতে পারে। আফরান নিশো ( Afran Nisho ) ঠিক একই পন্থা অবলম্বন করলেন। তিনি কবিতার মাধ্যমে ধিক্কার জানিয়ে লিখলেন…
"আমার সোনার বাংলা
আমাদের প্রাণ..
লাল সবুজের পতাকা
সবুজের মাঝে লাল…
বাবা মুক্তিযোদ্ধা
চেতনা-
লড়বো যদি যাক প্রাণ..
লাল সবুজের পতাকা….
তাদেরই প্রতিদান
তাদের আত্মত্যাগের ঘ্রাণ..
তবে আজ…
কেন এতো….. লাল??"
শেষ ২৪ ঘণ্টা ধরে সেদেশে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। নিজেদের মতামত জানানো তো দূর, খবর পৌঁছনো অবধি দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, অভিনেত্রী তটিনী নিজের সমাজমাধ্যমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি যোগাযোগের অনেক উপদেশ দিয়েছেন তিনি।