Bangladesh Actor: মুসলিম হয়েও হিন্দু মন্দিরের প্রসাদ খেয়ে পেটের জ্বালা মিটিয়েছেন, নায়ককে নিয়ে ছিঃ ছিঃ পড়ে গেল...

Bangladesh Actor News: ঈশ্বরের স্থানে সকলের মত তিনিও পেট ভরে এমন আহার পেয়েছেন। সেই নিয়েই মুখ খুলেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গে, খায়রুল বাসার। তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা...

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
Bangladeshi actor khairul Basar shared he went to temple and gurdwara for food

Bangladesh Actor: অভিনেতা নিজে মুখেই স্বীকার করেছেন সেসব কথা... Photograph: (Instagram)

Bangladesh Actor: খিদে কি আর ধর্ম মানে? নাকি ক্ষুধা নিবারণের জন্য স্থান কাল পাত্র বোঝা যায়? পেটের জ্বালা যে কত ভয়ঙ্কর, যারা একসময় না খেয়ে দিন পাড় করেছেন, তারাই জানেন। কিন্তু, ধর্ম সেসব দেখে না। মানবসেবায় আর যাই হোক, ধর্ম দেখা যায় না। ইসলাম হয়েও মন্দিরে গিয়ে খাবার খাওয়া কি বারণ? খিদে পেলেও কী ঈশ্বর ধর্ম দেখেন?

Advertisment

বাংলাদেশের এই অভিনেতার জীবন খুব একটা সহজ বোধহয় ছিল না। তাই তো একটা সময় যখন তিনি খিদের জ্বালায় জ্বলছেন, তখন নিজের ধর্মের কথা মাথায় না রেখেই, মন্দিরের প্রসাদ খেতেন তিনি। তাঁকে তখনও কেউ প্রশ্ন করেননি যে কোন ধর্মের মানুষ তিনি। তিনি কি হিন্দু না মুসলিম? বরং, ঈশ্বরের স্থানে সকলের মত তিনিও পেট ভরে এমন আহার পেয়েছেন। সেই নিয়েই মুখ খুলেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গে, খায়রুল বাসার ( Khairul Basar )। তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা। জীবনের একটা পর্যায়ে হয়তো বা অভাব অনটনের শিকার হয়েছিলেন। তাঁকে এক সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা যায়...

"আমি যে খেতে পাইনি তা না, তবে বেশ কিছুদিন মন্দিরে খাওয়াদাওয়া করেছি। সেখানে আমি খিচুড়ি খেতাম।" এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি আরও জানান মন্দিরের পাশাপাশি গুরুদ্বারাতেও তিনি যেতেন। দুই জায়গার খাবারের প্রশংসা করেই তিনি বলেন... "সঙ্গে সঙ্গে গুরুদ্বারাতে শুক্রবারে খাবার দেয়। চমৎকার খাবার। ওখানেও খেয়েছি। ওদের শেষে মিষ্টি বা দই দেয়। আমার দারুণ লাগত। আর মন্দিরে অনেকদিন খেয়েছি।" এদিকে, বাংলাদেশের অন্দরের কথা অনেকেই জানেন। তাঁর থেকেও বড় কথা, অভিনেতার এই মন্তব্যের পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে।

Advertisment

ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা অনেকেই একেবারেই এই কান্ড মেনে নিতে পারছেন না। মুসলিম হয়ে হিন্দু মন্দিরে খাবার খাবেন? সমাজ মাধ্যমের পাতায় তাঁরা বলছেন.. "মুসলমান কেন মন্দিরে খাবে?" আবার কেউ বললেন, ছিঃ ছিঃ ধর্মকর্মের এই অবস্থা? আবার কারওর কথায়, খাও! তোমরা না খেলে ওই খাবার কে খাবে? এদিকে অনেক মুসলিম ভাইয়েরা কিন্তু এমনও বলেছেন, যে খেয়েছে তো কী হয়েছে? খাবারের কোনও ধর্ম আছে? তাঁদের কথায়...

"খাবারের কোনো ধর্ম নেই। যারা ক্ষুধার্তকে খাওয়ায় তারা স্রষ্টার আশ্রয়ে থাকুক সারাজীবন।" আবার কেউ বলছেন, "খাবারের ধর্ম নাই। ক্ষুদার্ত তাই খেয়েছে। এত ছি ছি করার কিছু নাই।" কেউ বললেন, "আমিও মন্দিরে অনেক খেয়েছি। অনেক সুন্দর খাবার এবং গরীবরা পেট ভরে খেতে পায় এবং তাদের ব্যবহার খুব ভালো।" বেশ কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ মন্তব্য করেছেন, "উনাকে খেতে দেওয়া হয়েছে, ধর্ম পাল্টানো হয়নি। এটা খুব স্বাভাবিক।"

Bangladesh Bangladeshi Film bangladeshi actor Bangladeshi