গোটা বাংলাদেশ জুড়ে যা অবস্থা, ভয় লাগার সত্যিই কোনও শেষ নেই। পরীমণির ঠিক সেরকমই অবস্থা। একেই বাড়িতে দু-খানা বাচ্চা, কে নিয়ে যেন ওষ্টাগত প্রাণ অভিনেত্রীর। পর্যন্ত যেতে পারছেন না, মতো আফসোস হচ্ছে তার।
কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হলেও, বাংলাদেশ জুড়ে হিংসাত্মক দৃশ্যের শেষ নেই। ছাত্র আন্দোলন যে কিভাবে রাজনৈতিক আন্দোলনের পরিণত হয়ে গেল, বুঝে উঠতেই পারলেন না অনেকে গণভবন তছনছ হওয়ার পাশাপাশি স্থায়ীভাবে মুক্তি পেয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দেশের হিন্দু সমাজের ওপর এবং নানা মন্দিরের ওপর, যে আঘাত এসেছে তাতে সরব হয়েছিলেন তারকার। সংযত হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন পরীমণি নিজেও।
অভিনেত্রীর বর্তমানে দম বন্ধ কর অবস্থা। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, "ছেলে মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে বসে আছি। রাস্তায় একটাও লোক নেই, জানিনা কী হবে।" ছাত্র জনতার এক দফা দাবি পূরণ হয়েছে, কিন্তু যে লুটপাট এবং হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে স্তম্ভিত পরীমনি। তিনি হিংসা বন্ধ করার ডাক দিয়েছেন।
আরও পড়ুন - Mosharraf Karim-Bangladesh: ‘আর রক্ত দেখতে চাই না, রুগী হয়ে যাচ্ছি…’, নিজের দেশের বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে বললেন মোশাররফ করিম
সমাজমাধ্যমের পাতায় এও লিখেছেন, "শান্তি চাই, লুটপাট - আক্রমণ প্রতিহিংসা এগুলো চাই না। আমরা সংযত হই দায়িত্ববান হই। প্রিয় বাংলাদেশে আর রক্তপাত চাই না।" দেশের যা অবস্থা তাতে অভিনন্দন নিজের বাড়ির বাইরে তো দূর বারান্দায় পর্যন্ত যেতে পারছেন না। এতদিনে বলছেন, "ভাবুন বাড়ির বারান্দায় পর্যন্ত যেতে পারছি না। এভাবে থাকা যায়?"
কথায় বলে স্বাধীনতা পাওয়ার থেকেও স্বাধীনতা রক্ষা করা বেশি জরুরি এবং কঠিন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ যেন এখানেই হেরে গেছেন। এক সময় তারকারা যেখানে ডাক দিয়েছিলেন দেশের নতুন সূর্যোদয়ের অপেক্ষায়, সেখানেই তারা গত দুদিন একই কথা বলে চলেছেন, শান্ত এবং সংযত থাকুন। স্বাধীনতা উদযাপন করতে গিয়ে দেশের সম্পদের নষ্ট এবং মানুষের প্রাণ যেন না যায়।
কিন্তু সোমবার সন্ধ্যেবেলার পর থেকে যে ধরনের চিত্র ফুটে উঠেছে, তাতে আঘাত লেগেছে ধর্মীয় ভাবাবেগে। অপূর্ব থেকে অন্যান্য তারকাদের অনেকেই আর্জি জানিয়েছিলেন, দেশের হিন্দু ভাইয়েদের ওপর যেন অত্যাচার না হয়। যে স্বাধীনতা তারা পেয়েছেন, সেটি যেন সৎ ভাবে বজায় থাকে।