Pori Moni-Bangladesh: জীবনের শুরু আর মধ্যভাগ সবসময় এক থাকে না। আর কাছের মানুষরা চলে গেলে তো সবকিছুই কেমন যেন পাল্টে যায়। তখন, হাপিত্যেশ আর দীর্ঘনিঃশ্বাস ছাড়া কিছুই আর থাকে না। যত বড়ই তারকা সে হন না কেন, দিনের শেষে মানুষ শুধু সঙ্গ খোঁজে। অভিনেত্রী পরী মণির জীবন একেবারেই সেক্ষেত্রে বিচিত্র না।
যদিও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল যে তিনি প্রেম করছেন। তবে, সেই ঘটনাকে গুজব বলেই হাওয়ায় উড়িয়েছেন। কিন্তু, ভীষণ একা এই চিত্রনায়িকা, দিনের শেষে যেন আরও একাকীত্ব বোধ করেন। বাড়ি ফিরে এসে, কাছের মানুষগুলোকে একেবারেই দেখতে পান না। তাঁর দাদু মারা গিয়েছেন প্রায় অনেকদিন হল। তাই তো এখন জীবনের মায়া পুরোপুরি বুঝতে পারেন তিনি। সমাজ মাধ্যমে নিজেদের যেভাবে দেখাতে চান, বাস্তবে সেটা যে কতটা আলাদা, এই নিয়েই অভিনেত্রীকে বলতে শোনা গেল। এমনিও তিনি সমাজ মাধ্যমে সক্রিয়।
কিন্তু, এতটা অসহায় যেন আগে বোধ করেননি তিনি। জীবনের মোক্ষম বোঝা তিনি বুঝেছেন। অভিনেত্রী সমাজ মাধ্যমে লিখছেন... "আহারে জীবন! কতো পলিশ ভাবে উপস্থাপন করতে চাই আমরা সবসময় সোস্যাল মিডিয়ায়! কিন্তু আসলে কি তাই হয় সবসময়! হয় না তো। এই যে আমি, কতো অসহায় লাগে আমার নিজেকে যখন একা একা খেতে বসতে হয়। শুধু এই একটা সময়ই আমার নিজেকে বড্ড একা লাগে। এতিম লাগে।"
সারা দিনের শেষে বাড়িতে এসে যে মানুষটার কথা তাঁর সবথেকে বেশি মনে পড়ে সে হলেন তাঁর দাদু। কোনোদিন তিনি বেঁচে থাকতে একা খেতে হয়নি তাঁকে। রোজ, তিনিই অপেক্ষা করতেন। নায়িকা আরও বলছেন... "নানা ভাই বেঁচে থাকতে কোনো দিন বুঝতে পারি নাই আমি এমন ভাবে একা ! কি রাত, কি দিন, কি ঠিক সময়, কি অসময়ে যখনই খেতে বসতাম নানা ভাই সামনে বসে থাকতো। বাচ্চারা ঘুমালে একটু নিজের জন্য সময় পাওয়া যাবে ভাবি। হাতে জমে থাকা কতো কাজ সেরে ফেলবো ভাবি। করিও সবই। শুধু খাবার সামনে একা বসে খেতে আর পারি না।"
কিন্তু, এখন তাঁর একটাই আশা, তাঁর সন্তানদের বড় হওয়ার অপেক্ষা। অভিনেত্রী সেদিনের দিকে চেয়ে বসে আছেন যখন তাঁকে আর একা খেতে হবে না। তাই তো সব শেষে মনের কথা জাহির করেই লিখলেন... "রোজার সময়ে আজ আর সেহরি বা ইফতারে কোনো আয়োজন থাকে না আমার। আমি সব সয়ে নতুন করে বাঁচার মানুষ বরাবরই। আমি জানি, আমার বাচ্চারা বড় হয়ে গেলে আবার নতুন করে সুখী মানুষ হয়ে যাবো আমি। সময় বা অসময়ে তখন একা বসে খেতে তো হবে না আর……" উল্লেখ্য, এখন তাঁর সন্তানদের নিয়েই সংসার। শরিফুল রাজকে ডিভোর্স দেওয়ার পর তাঁকে আলাদা করে কারওর সঙ্গে সংসার পাততে দেখা যায়নি।