বিতর্ক, সমালোচনা কিংবা তাঁর চরিত্র নিয়ে কাঁটাছেড়া যতই হোক, পরিমণির মানবিক উদ্যোগকে কুর্নিশ। ছেলের অন্নপ্রাশন করলেন দুঃস্থ, অনাথ পথশিশুদের পাশে বসিয়ে। উদরপূর্তির আয়োজনও ভরপুর। মাংস-বিরিয়ানি দাওয়াতে জমে উঠল রাজ্যের মুখেভাত।
Advertisment
১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেমদিবসে যেদিন আকাশে-বাতাসে ভালবাসার গন্ধ, সেদিনই ছেলে রাজ্যের মুখে প্রথম ভাত দিলেন মা-অভিনেত্রী পরিমণি। বাবা রাজের কিনে আনা সোনার বাটি-চামচেই ভাত খেল ছোট্ট রাজ্য। বিভিন্ন রঙের শাড়ি দিয়ে খাটানো হয়েছিল শামিয়ানা। লাইটে সেজেছিল গোটা আসর। মেঝেতে পাতা রংবাহারি মাদুর। পরিমণি নেমন্তন্নের তালিকায় যেমন বাংলাদেশের নামজাদা পরিচালক, প্রযোজকরা ছিলেন। তেমনই ছেলের অন্নপ্রাশনে পথশিশুদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নায়িকা।
দাওয়াতের আয়োজনে কোনও কিছু বাদ রাখলেন না পরিমণি-শরিফুল। অনাথ পথশিশুরা লাইন দিয়ে বসে পাত পেড়ে মাছ-মাংস, বিরিয়ানি খেল। আসলে খুব ছোটবেলাতেই মা-বাবাকে হারিয়েছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী। তাই অনাশ পথশিশুদের প্রতি তাঁর বড় মায়া। কখনও পুজোর সময়ে তাঁদের নতুন জামা বিলোন তো কখনও বা খাবার।
ছেলের মুখে-ভাত নিয়ে পরিমণি জানান, "আজ রাজ্য ৬ মাস পূর্ণ করল। দিনের কিছুটা সময় পথশিশুদের সঙ্গে কাটালাম। ওদের সঙ্গে বসেই রাজ্যের প্রথম মুখেভাত হল। এটা যে কীরকম আনন্দ বলে বোঝানো সম্ভব নয়। ওরাও তো মানুষ। ওদেরও তো ভালমন্দ খেতে মন চায়। সুন্দরভাবে বাঁচতে চায়। আমি চাই রাজ্য মানবিক মানুষ হয়ে উঠুক।" শেষপাতে বললেন- "ফাল্গুনি ভালবাসায় রাজ্যের মুখেভাত।"