Actor Tragic Life: পরনে কেবল একটা লুঙ্গি, মাজারের পাগল ছাড়া কারও সঙ্গে কথা নেই, ভয়ঙ্কর অবস্থা জনপ্রিয় অভিনেতার..

Bangladeshi popular actor somu Choudhury: অদৃষ্টের কী  বিশ্রী খেলা! একজন অভিনেতার জীবন যেরকম ভয়ংকর দিকে টার্ন নিতে পারে, নিজে চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হবে না। টেলিভিশন কিংবা নাটকের এক জনপ্রিয় মুখ, তার নাকি আজকে ঠাঁই হয়েছে গাছতলায়। তারকাদের জীবনের টুইস্ট অ্যান্ড টার্ন লেগেই থাকে। তাই বলে এরকম মর্মান্তিক ঘটনা ঘটবে একজন জনপ্রিয় অভিনেতার সঙ্গে? সিলভার স্ক্রীন কাঁপানো একজন মানুষ তিনি নাকি আজকে গাছ তলায় শুয়ে আছেন।

প্রসঙ্গে বাংলাদেশের এক জনপ্রিয় অভিনেতা সমু চৌধুরী। সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বেশ কিছু ছবি। এবং সেই ছবি দেখলে হৃদয় কেঁপে উঠবে। বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে এই অভিনেতাকে ময়মনসিংহে গফরগাঁও এর প্রত্যন্ত মাজারে, আসতে দেখা যায়। সেখানে একটি মাদুর পেতে খালি গায়ে শুয়ে আছেন অভিনেতা। চেহারায় ভাঙন ধরেছে। মানুষটির মুখ দেখে চেনা গেলেও চেহারায় বলা সম্ভবই নয়, যে তুমি একজন অভিনেতা। ইমারজেন্সি মাজারে পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গেলেও তিনি যেতে চাইছেন না বলেই অভিযোগ। সমাজ মাধ্যমে যে ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে...

ফাটাপোড়া রোদে, পরনে গামছা সুলভ লুঙ্গি, অভিনেতা বুকের ওপর হাত রেখে শুয়ে আছেন। দেখে অসুস্থ মনে হচ্ছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী আল মামুন তিনি প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে মাজারের পাশে বাক বিতন্ডা শুনেই এগিয়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে অভিনেতা সমু চৌধুরীকে তিনি চিনে ফেলেন। মোটরসাইকেল চালককে ভাড়া না দেওয়ায়, সমু চৌধুরীর সঙ্গে তিনি রীতিমতো ঝগড়া করছিলেন। জানা যাচ্ছে তখন তুমি এটা খালি গায়ে ছিলেন। মনে ছিল একটা ট্রাউজার এবং একটা ব্যাগ। অভিনেতা যে ধরনের আচরণ করছিলেন তাতে তাকে সুস্থ বলে মনে হয়নি।

এখানেই শেষ নয়, সে ব্যক্তি আরো জানিয়েছেন যে সমু চৌধুরী গতকাল রাতে ফকিরদের সঙ্গেই ছিলেন। পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও তিনি যেতে নারাজ। স্থানীয়রা তাকে নতুন একটা লুঙ্গি দিয়েছেন। মাজারের পাগলদের সঙ্গে তিনি কথা বলছেন গল্প করছেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মাজারের ফকির ছাড়া তিনি আর কারওর সঙ্গেই কথা বলতে চান না। পাগলা থানার ওসি ফেরদৌস আলম বলেন, "অভিনেতা সেখানে আছেন জানতে পারি তাকে উদ্ধারের জন্য যাওয়া হয়েছিল। পৌনে আটটা পর্যন্ত মাজার থেকে তাকে আনা যায়নি। বেশি প্রশ্ন করলে উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছে অশান্তি করছেন। তার পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, আশা করছি তাকে আমরা পরিবারের কাছে তুলে দিতে পারব। তারা আসছেন এখানে।"