Singer Hospitalised: অসুস্থ বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী। কয়েক দিন ধরে ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, লালন সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি ফরিদা পারভীন। তার অবস্থা এতটাই সঙ্গিন হয়ে ওঠে যে বুধবার তার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এবং ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম জাফর জানিয়েছেন এই বিষয়টি। সেই মেডিকেল বোর্ডে, বাংলাদেশের নানান শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল রাত সাড়ে দশটা থেকে পৌনে বারোটা পর্যন্ত সে মেডিকেল বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, জাতীয় কিডনি রোগ এবং ইউরোলজি ইনস্টিটিউট, এছাড়া নানান শীর্ষ স্থানীয় চিকিৎসকরা। এবং তারা সেই মিটিং শেষে জানান, ফরিদা পারভীনের বিষয়ে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। তার অবস্থা ক্রমশই উন্নতির দিকে। কিছু ইনফেকশন শরীরে এখনো বহাল আছে আমরা চেষ্টা করছি তা দূর করার। আশা করবো তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
Bollywood Actress Tragedy: 'স্টেরয়েডের সঙ্গে মদ খেত ও', প্রয়াত স্বামীর…
পদ্মাপাড়ের লালন সংগীতের এই কিংবদন্তি, কয়েক বছর ধরেই নানান সমস্যায় ভুগছেন। তোর শরীরে কিডনির রোগ, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা সহ, আরও নানান জটিল রোগ বাসা বেধেছে। বেশ কিছুদিন ধরে তার ডায়ালাইসিস চলছিল। এবং তারপর থেকে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। ৫ই জুলাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আইসিইউতে, তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন অনেকদিন। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল বলে জানা গিয়েছে। মাঝখানে তো সমাজ মাধ্যমে এও রটে গিয়েছিল সেই মানুষটি নাকি আর নেই। ফরিদা পারভীনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়েছিল ভয়ংকর ভাবে।
বর্তমানে আইসিইউতেই রয়েছেন তিনি। তার শরীরে নানান সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। প্রসঙ্গে এই শিল্পী, বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার নানান জায়গায় বিখ্যাত। ১৯৭৩ সালের দিকে তিনি দেশের জন্য গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। সংগীতের বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি। আট সালে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ফকুওয়াকা এশিয়ান কালচার পুরস্কারও পেয়েছেন। ১৯৯৩ সালে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।