কথা দিয়েছিলেন ভোটে জিতলে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের ভাগীদার হবেন। সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। ব্যারাকপুরের (Barrackpore) উন্নয়নের কাজ শুরু করেছেন তড়িৎ গতিতে। বিধায়কের এমন ভূমিকায় আপ্লুত এলাকাবাসীও। একের পর এক সাহায্যের আর্জি আসছে। তৃণমূলের তারকা বিধায়ক নিজে হাতে সামলাচ্ছেন সেসব। এককথায় এইমুহূর্তে বেজায় ব্যস্ত রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। অর্জুন-গড় ব্যারাকপুরের ময়দানে দাপিয়ে ব্যাটিংও করছেন। থামছে না সাহায্যের হাত। এই কখনও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে আহত মহিলার বাড়ি পোঁছে যাচ্ছেন, তো আবার কখনও বা তাঁর পিতৃহৃদয় কেঁদে উঠেছে বির হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুর উদ্দেশে। শুধু আর্থিক অনুদান দিয়েই ক্ষান্ত থাকছেন না বিধায়ক রাজ। বরং সশরীরে উপস্থিত হচ্ছেন দুঃস্থ-আর্তদের ঠিকানায়। এহেন মানবদরদী বিধায়কের ভূমিকায় মুগ্ধ ব্যারাকপুরবাসী।
ব্যারাকপুরের বাসিন্দা রাজিয়া বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে আহত হয়েছেন সদ্য। সেই খবর কানে যেতেই তাঁর পরিবারকে আশ্বস্ত করতে সেখানে পৌঁছন রাজ চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, ওই মহিলার চিকিৎসার যাবতীয় দায়ভারও তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে। এদিকে আচমকা বিধায়কের উপস্থিতিতে আপ্লুত রাজিয়ার পরিবার।
<আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান! সোশ্যাল মিডিয়ায় কেচ্ছা-বিতর্কের মধ্যেই নুসরতের ‘বেবি বাম্পের’ ছবি প্রকাশ্যে>
শুধু তাই নয়, নয়াবস্তি এলাকার আশিয়া খাতুন এবং মহম্মদ ইসলামের সন্তান দুরারোগ্য হৃদরোগে আক্রান্ত জন্মসূত্রেই। সেই খুদে ভর্তি ছিল ব্যারাকপুরের ডাঃ বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে। তার হৃদযন্ত্র বাঁ দিকের পরিবর্তে রয়েছে ডান দিকে। এমতাবস্থায় ওই শিশুকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই অতিমারী আবহে কলকাতার একাধিক হাসপাতালে হন্যে হয়ে খুঁজেও বেড পাওয়া যায়নি। খবর কানে যেতেই, কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তড়িঘড়ি ওই শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন রাজ চক্রবর্তী। এখন সেই শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ। তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলে সেখানেই ওই খুদেকে দেখতে উপস্থিত হন বিধায়ক রাজ। তাঁকে ফুলমালা দিয়ে স্বাগত জানায় মা আশিয়া খাতুন। বিধায়কের এমন মানবিক উদ্যোগে আপ্লুত ওই শিশুর পরিবার। তাই সম্ভবত, ব্যারাকপুরবাসীর মুখে এখন একটাই কথা- "প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখার নামই রাজ চক্রবর্তী।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন