'গো-মাংস রান্না' ইস্যুতে বিতর্ক এখনও অব্যাহত। যে বিষয়ে মুখ খুলে বর্তমানে গেরুয়া শিবিরের চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত (Debolina Dutta)। সেই প্রসঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যাঁর জল্পনা এই মুহূর্তে তুঙ্গে, সেই রুদ্রনীল ঘোষও (Rudranil Ghosh) সহকর্মী অভিনেত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন যে, "দেবলীনার মা কি দুর্গাপুজোয় 'গো-মাংস' রান্নার কথা ভাবেন?" ছেড়ে কথা বলার পাত্রী নন টলিউড অভিনেত্রীও। পালটা দিলেন। দেবলীনা বললেন, "ওই অনুষ্ঠানে রুদ্রনীলও তো উপস্থিত ছিলেন, তখনই প্রতিবাদ না জানিয়ে বত্রিশ পাটি বের করে শুভেচ্ছা জানালেন কেন?" অভিনেত্রীর ক্ষোভ, "রুদ্রনীল এখন আর বন্ধু নেই।"
এখানেই থেমে থাকেননি দেবলীনা দত্ত। রুদ্রনীলের গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া নিয়েও ঝাঁজালো মন্তব্য করেছেন। "এখন দল বদলাচ্ছেন বলে কি ওদের সুরে সুর মেলাচ্ছেন রুদ্রনীল?" কড়া প্রশ্ন অভিনেত্রীর। এর পাশাপাশি দেবলীনা এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, সেদিন ওই অনুষ্ঠানে 'গো-মাংস রান্না' প্রসঙ্গে তিনি যা বলেছেন, সেই মন্তব্য থেকে একচুলও সরবেন না তিনি।
প্রসঙ্গত, রুদ্রনীলের পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে, তারই মাঝে এক সংবাদমাধ্যমের কাছে দেবলীনা দত্ত প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন অভিনেতা। বলেন, "দেবলীনা দত্ত টেলিভিশনে গোটা দেশের সামনে যেভাবে অষ্টমীর দিন গরুর মাংস রান্না করার কথা বলেছিলেন, তাতে একাধিক ধার্মিক মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। সেই মানুষগুলো যে কেবল বিজেপি, সেই ভাবনাটা ভুল। দেবলীনার মাকে জিজ্ঞেস করুন তো, দুর্গা পুজোর সময়ে কখনও গরুর মাংস রান্না করার ভেবেছেন কি না? এরকম কথায় হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষেরা আঘাত পান জেনেও এই ধরনের কথা বলার কী মানে?" প্রশ্ন তুলেছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ।
সেই প্রেক্ষিতেই এবার বিস্ফোরক দেবলীনা দত্ত। এক সংবাদমাধ্যমে কলম ধরলেন অভিনেত্রী। কোনওরকম রেয়াত না করেই সহকর্মী রুদ্রনীলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। দেবলীনার কথায়, "সত্যিই যদি ওঁর হিন্দুত্ববোধে আঘাত লেগে থাকে তাহলে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তখনই কেন প্রতিবাদ করলেন না রুদ্রনীল? উলটে মঞ্চ থেকে নেমে এসে হাসিমুখে আমার হাত চেপে ধরে শুভেচ্ছা জানালেন! আমার কথাগুলো যে ওঁকে এত আঘাত করেছে, তখন সেকথা তো বন্ধুত্বের সুরেই জানাতে পারতেন। তখন কোথায় ছিল ওঁর প্রতিবাদ? এখন দল বদলাচ্ছেন বলে কি ওদের সুরে সুর মেলাচ্ছেন? সেই সময় ওঁর হাসিমুখ এবং শুভেচ্ছা বিনিময়ের নম্রতা দেখে মনেই হয়নি, ওঁর যে খারাপ লেগেছে।"