ঝকঝকে মাল্টিপ্লেক্স, পপকর্ন-কোল্ড ড্রিংকস-সহযোগে নরম গদিতে ঠাসাঠাসি, পেল্লাই সাইজের সিনেপর্দা… এসবের যুগে সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমাওয়ালাদের হাহাকারটাই কোথায় যেন এক্কেবারে ব্রাত্য হয়ে গিয়েছে। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর ‘সিনেমাওয়ালা’ ছবিতে চিৎকার করে বলতে চেয়েছিলেন, তুলে ধরেছিলেন সেসব সিঙ্গলস্ক্রিন মালিকদের হাহাকারের কথা। কিন্তু ওই সময়ের ফের! কালের নিয়মে আবেগেও যে ভাঁটা পড়ে। বোঝে না সে ঐতিহ্য-নবীনের ফারাক। মাল্টিপ্লেক্সের ভিড়ে বর্তমানে সিনেমাহলগুলোরও সেই একই পরিস্থিতি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় দুশোটিরও বেশি সিনেমাহল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই খাতায় যখন নাম লিখিয়েছিল কলকাতার ঐতিহ্যবাহী মিত্রা সিনেমাহল, তখন আবেগপ্রবণ হয়ে পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মনে করিয়ে দিয়েছিলেন - "সিনেমাদাদুর একটু সন্দেশ খাওয়ার কথা..।"
Advertisment
এবার 'বেলাশুরু' মুক্তির প্রাক্কালে রাজ্যে ধুঁকতে থাকা সিঙ্গলস্ক্রিন হলগুলোর কথা মাথায় রেখে এক বিশেষ সিদ্ধান্ত নিলেন শিবু-নন্দিতা। কোনও ঝাঁ চকচকে মাল্টিপ্লেক্স কিংবা সিনেমাহল নয়, বরং দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের 'বিজলি'তে হচ্ছে এই ছবির প্রিমিয়ার। যে সিনেমাহল টালিগঞ্জ স্টুডিওপা়ড়ার বহু ঘটনার সাক্ষী। মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় একসময়ে কত রথী-মহারথীদের পায়ের ধুলো পড়েছে বিজলিতে। কিন্তু কালের নিয়মে চোখ ধাঁধানো গ্ল্যামারাস প্রেক্ষাগৃহের ভিড়ে, আজ এই সিঙ্গলস্ক্রিন ব্রাত্য। সেই প্রেক্ষিতেই এই প্রজন্মকে ঐতিহ্যের কথা মনে করিয়ে দিতে অভিনব সিদ্ধান্ত শিবু-নন্দিতার।
উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার টিমের কথায়, "আমরা সিঙ্গল স্ক্রিন থিয়েটারকে ভালবাসি। ভালবাসি ঐতিহ্যকে, যে সিনেমাহলকে ঘিরে রয়েছে হাজারো গল্প, সেই বিজলিতে 'বেলাশুরু'র প্রিমিয়ার আয়োজন করা বেজায় সম্মানের। যেখানে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বহু সিনেমার একসময়ে হাইজফুল শো গিয়েছে।" সৌমিত্র -স্বাতীলেখা জুটিকে যে তাঁরা মনেপ্রাণে মিস করছেন, তা বলাই বাহুল্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
আমাদের নিউজলেটার সদস্যতা!
একচেটিয়া অফার এবং সর্বশেষ খবর পেতে প্রথম হন