শান্তিনিকেতনে অর্মত্য সেনের বাড়ির জমি বির্তক তুঙ্গে। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি সরকার তাঁকে বিঁধে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছে। এমনকী, প্রকাশ্যে বাঁকা কথা শোনাতেও ছাড়েনি। এবার অমর্ত্য সেনের বাড়ি 'প্রতীচি' নিয়ে বিশ্বভারতী বেআইনিভাবে যে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছে, তাতে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকেও এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার বিশিষ্টজনকে আক্রমণের অভিযোগ তুলে হুংকার ছেড়েছিলেন কেন্দ্রের উদ্দেশে। এবার মমতার দেখানো পথ অনুসরণ করেই অমর্ত্য সেনকে হেনস্তার প্রতিবাদে পথে নামছেন বাংলার বিদ্বজ্জনেরা। নেপথ্যের কাণ্ডারী রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ বাংলা আকাদেমির সামনে একত্রিত হয়ে এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী স্বর তুলবেন তাঁরা।
ব্রাত্য বসুর ডাকা প্রতিবাদী সভায় উপস্থিত থাকবেন কবি জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার, চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন, যোগেন চৌধুরী, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, সিনে-পরিচালক অরিন্দম শীল প্রমুখ। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, গায়ক কবীর সুমনকেও। তবে, ব্রাত্য বসু ছাড়া রাজ্য সরকারের অন্য কোনও প্রতিনিধি এই সভায় যোগ দেবেন না বলেই জানা গিয়েছে।
এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে ব্রাত্য বসুর মন্তব্য, "যেহেতু অর্মত্য সেন বিজেপি সরকারের বিরোধী, তাই তাঁর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের প্রতিহিংসার মনোভাব কাজ করছে। এসব কিছু বলার বা করার আগে মনে রাখতে হবে তিনি একজন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ এবং ক্ষিতিমোহন সেনের নাতি। বাংলায় রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃতির সঙ্গে সেন পরিবার বিরাটভাবে জড়িত।"
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার নবান্নের বৈঠকে মমতা বলেন, "অমর্ত্যদার অমর্যাদা আমরা হতে দেব না। ওনার পরিবার এখানে আছেন প্রায় ৭০-৮০ বছর। যাঁরা এসব বলছেন, তাঁরা ওনার সম্পর্কে কতটুকু জানেন? অমর্ত্য সেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তাই তিনি জমি দখল করে আছেন, হকার বসিয়েছেন, তাঁর প্রতীচী বাড়ি নিয়ে যা ইচ্ছা বলে যাবে তা বাংলার মানুষ বরদাস্ত করবে না। আমি বাংলার মানুষের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ওরা অসত্য, অর্ধ সত্য, অর্ধ নগ্ন ভাষায় লোককে গালাগালি করছে। ক্ষমা করবেন অমর্ত্যদা। আপনাদের মতো মানুষকেও এরা সম্মান দিতে জানে না। "