Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

অমিতাভের শুভেচ্ছাবার্তা দিয়ে জিতের 'শেষ থেকে শুরু'

"কে বলেছেন বাংলা ছবি দর্শক দেখছেন না? সকালবেলাই বাবা বলছিলেন, একজন অবাঙালির সঙ্গে দেখা হলো। একজন আলাপ করিয়ে দিলেন, জিতের বাবা বলে। উনি বললেন, হ্যাঁ জিতকে চিনি।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
jeet

জিৎ। ফোটো- জিতের ইনস্টাগ্রাম

বুধবার অর্থাৎ আজ মুক্তি পেয়েছে জিতের ছবি 'শেষ থেকে শুরু'। এদিন প্রায় ধাওয়া করে পৌঁছনো গেল সুপারস্টার পর্যন্ত। ছবি রিলিজের আগে প্রচুর ব্যস্ততার মধ্যেও কথা বললেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে।

Advertisment

আবার 'শেষ থেকে শুরু' করলেন? অমিতাভ বচ্চনও আপনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

মিস্টার.বচ্চন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তার জন্য আমার ভাষা নেই। এটা হৃদয়ের বন্ধন। আসলে অমিতাভ বচ্চন পর্যন্ত পৌঁছনোটা অনেকদিন আগেই হয়েছে। তবে ৫০ তম ছবিতে ওঁর শুভেচ্ছাবার্তা অনেকটা উজ্জীবিত করে।

এখনও পর্যন্ত কেমন সাড়া পাচ্ছেন দর্শকদের কাছ থেকে?

ভীষণ ভাল, খুবই ভাল। গানে তো অসাধারণ সাড়া পেয়েছি। প্রথমবার অর্ক মুখোপাধ্যায় বাংলা ছবিতে কম্পোজ করলেন। 'মন আমার' এবং 'মধুবালা', যেমনটা একটু আগেও বলছিলাম, ভীষণ ভাল। ফিঙ্গারস ক্রসড, মানুষ এটা পছন্দ করছেন।

'শেষ থেকে শুরু'র কোনও বিষয় নিয়ে বলতে হলে বলব ছবির বিষয়। অনেকদিন পরে পরিবারের গল্প আসছে, যেখানে প্রেম, বিচ্ছেদ, অমতে বিয়ে, এই সমস্তটা আসছে। এগুলো আমরা সমাজে হামেশাই দেখতে পাই। তবে ছবিতে সেটা একটু বড় আকারে।

কোয়েলের সঙ্গে এতদিন পর, আবার রেকর্ড ভাঙবে?

ভাঙাতে আমি বিশ্বাস করি না, গড়াতে বিশ্বাস রাখি (হাসি)। কী কী নতুন গড়ছি সেটাই লক্ষ্যে থাকে। এবারের প্রত্যেকটা চরিত্র পরিণত, গল্পের প্রয়োজনে প্রায় প্রতিটা চরিত্র সমান জায়গা পেয়েছে।

আর ঋতাভরী...

ঋতাভরী অভিনেত্রী হিসাবে আমাকে চমকে দিয়েছে। একবারেই শেষ মূহুর্তে ছবিতে নেওয়া হয়েছে ওকে। ওর চরিত্রটার জন্য অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কিন্তু শেষমেষ ঋতাভরীই ফাইনাল হয়েছিল। আর ও অসম্ভব ভাল করেছে।

jeet ritabhari জিৎ ও ঋতাভরী। ছবি: ঋতাভরী চক্রবর্তীর ইনস্টাগ্রাম

ঈদে হিন্দি বনাম বাংলা ছবি থাকেই, এবারেও ভাইজান রয়েছেন...

এই প্রশ্নটা বিগত কয়েক বছর ধরে আমি শুনছি। প্রতিটা ঈদেই ছবি তৈরি করছি। সবার দর্শক রয়েছেন। বাংলা ছবির নিজস্ব দর্শক তো রয়েইছেন। অন্যদের নিয়ে না ভেবে নিজেদের কাজটা করে যাওয়া ভাল। আর যে জিনিসটা আপনি বদলাতে পারবেন না, সেটা না ভেবে নিজের কাজ করে যাওয়াটা শ্রেয়। তাছাড়া হিন্দি মার্কেট হিসাবে অনেক বড়। আমরা দর্শককে ছবি দেখতে দেখেছি, তাই তো প্রত্যেকবার রিলিজ করে আসছি ছবি।

বাংলা ছবি মানুষ দেখছেন না, এই রবটা তো রয়েছে!

কে বলেছে বাংলা ছবি দর্শক দেখছেন না? মানুষ সিনেমা হলে গিয়ে দেখছেন, টেলিভিশনে দেখছেন। সকালবেলাই বাবা বলছিলেন, একজন অবাঙালির সঙ্গে দেখা হলো। একজন আলাপ করিয়ে দিলেন, জিতের বাবা বলে। উনি বললেন, হ্যাঁ জিতকে চিনি। বাবা জিজ্ঞেস করায় পর পর আমার ছবির নামগুলো বলে গেলেন। জানালেন, সিনেমা হলে দেখা হয় না, তবে টিভিতে দেখা। ছবি না দেখলে ছবি তৈরি হচ্ছে কি করে? ছবির সংখ্যা তো কমছে না? নতুন নতুন প্রযোজক, টেকনিশিয়ান আসছেন। আসলে সিনেমার ব্যবসায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ সাকসেস রেট। আর সেটা ভাল।

আরও পড়ুন: ঈদেও ব্লকবাস্টার সোনাদার ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’

একটা ছবির মার্কেটিংয়ের দিক নিয়ে আপনি কতটা ভাবেন?

আমার মার্কেটিং টিম রয়েছে। তারা বিষয়টা দেখে। আমার ভাবনা চিন্তা সব জায়গাতেই থাকে। তবে টিমের সঙ্গে বসে আইডিয়া আলোচনা করি।

'শেষ থেকে শুরু' নিয়ে দর্শককে কী বলবেন?

ধন্যবাদ জানাব! আমার ৫০ তম সিনেমাতেও আমার সঙ্গে থাকার জন্য এবং এতটা ভালবাসা দিয়েছেন। কৃতজ্ঞ আমি। চেষ্টা করব আরও ভাল ভাল ছবি উপহার দেওয়ার।

tollywood jeet Bengali Hero
Advertisment