Maha Shivratri-Tollywood: আজকের দিনটার একটা আলাদারকম মাহাত্ম্য আছে। তাঁর কারণ, আজ মহা শিবরাত্রি। যারা শিব ভক্ত, তাঁদের কাছে এই বিশেষ রাত খুবই গুরুত্বপুর্ন। সারাদিন উপোস থেকে প্রহরে প্রহরে শিবকে জল এবং অর্ঘ্য অর্পণ করে এই বিশেষ দিনের পুজো হয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন এই বিশেষ দিনের গুরুত্ব আছে? তেমনই তারকাদের জীবনে এই বিশেষ দিনের মাহাত্ম্য কিন্তু কম নয়।
টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা রোহন ভট্টাচার্য যিনি ভজ গোবিন্দ এবং ভাসান বাপি হিসেবেই বিখ্যাত, তিনি কিন্তু মহাদেব হিসেবেও নজর কেড়েছিলেন। অভিনেতার সঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। অভিনেতা ভাগ করে নিলেন বেশ কিছু স্মৃতি। তাঁর কথায়... বাড়িতে শিবরাত্রির পুজো হত একসময় বড় করে। কিন্তু বাবা ২০২১ সালে চলে যাওয়ার পর তাঁর মা একা হাতেই পুজোর আয়োজন করেন। কিন্তু, ছেলেবেলার দিনগুলো খুবই মনে পড়ে তাঁর। স্মৃতি ভেসে আসে সহজেই।
অভিনেতা বললেন... "বাড়িতে শিবলিঙ্গ আছে। সেখানেই বড় করে পুজো হত। আমরা রাত জগতাম। সব ভাইবোনরা এক হত। প্রচুর আনন্দ করেছি সেই সময়টা, যেটা এখন মিস করি। তারপর, একটু বড় হওয়ার পর ভাঙ্গ কিনে নিয়ে আসা। অল্প অল্প খেতে শিখলাম তখন, লুকিয়ে লুকিয়ে বানানো হত। একবার তো এমন হলো, আমার পিসতুতো দাদার বউ তাঁর বরকে চিনতে পারছে না, বাবার প্রসাদ খেয়ে।"
মহাদেব হিসেবে তিনি বেশ জনপ্রিয়। অনেকবার শিব হিসেবে অভিনয় করেছেন। বিশেষ কোনও শক্তি তখন অনুভব করেছিলেন? রোহন বলেন... "আমি বরাবর মহাদেবকে মানি। আসলে আমি খুব আধ্যাত্মিক। কিন্তু, আমি না ভগবানের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের নৈতিক বোধ এবং কর্তব্যগুলোকে বেশি ফলো করি। যেমন, মহাদেব তাঁর পরিবারকে, গোটা বিশ্বকে রক্ষা করতে নিজে বিষ খেয়ে নিয়েছিলেন। আমিও আমার পরিবারকে বাঁচাতে সব করতে পারি। যেমন, মহাদেবের আরেক রূপ বজরংবলি সে যেমন ভীষণ সৎ এবং শক্তিবান, আমার মধ্যেও সেটা আছে।" রোহন আরও জানালেন যখন মহাদেবের চরিত্রে অভিনয় করতেন, তখন ঠিক কীভাবে নিজেকে গড়ে তুলতেন।
তাঁর কথায়, "আমি যেকবার মহাদেবের ভূমিকায় অভিনয় করেছি, যখন মেকাপ নিয়েছি বা সেই বেশভূষা ধারণ করেছি, আমি তখন জুতো পড়িনি। খালি পায়ে হেঁটেছি। তখন আমি নিরামিষ খেয়েছি। আর সবথেকে বড় কথা আমি তখন নিজের মুখ আর কথাবার্তার দিকে খুব সচেতন থাকতাম। কাউকে কিছু খারাপ বলা, আমি এগুলো থেকে এমনিও দূরে থাকি, আর তখন খুব সতর্ক থাকতাম।"