Sabyasachi as Bama Khyapa: গতকাল টলিউড ইন্ডাস্ট্রির বুকে নতুন সব গল্পের উদঘাটন হয়েছে। SVF এর গল্পের পার্বণে যেমন নতুন কিছু বন্ধুত্ব দেখা গিয়েছে, তেমন কিছু নতুন শুরুর ইঙ্গিত মিলেছে, তেমনই বেশ কিছু মানুষকে দেখে মানুষের মুখে আবারও হাসি ফিরে এসেছে। তাঁর মধ্যে একজন সব্যসাচী চৌধুরী।
অভিনেতা বহু মানুষের কাছের একজন। রামপ্রসাদ হিসেবে তিনি ফিরেছিলেন টেলিভিশনে। তাঁর আগে তিনি সব্যসাচী থেকে হয়ে উঠেছিলেন সাধক বামাখ্যাপা। নিজেও বড়মার একান্ত অনুরাগী তিনি। তাই তো, ঐন্দ্রিলা শর্মা যখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, ঠিক তখনও বড়মার ওপর আস্থা রেখেছিলেন। কিন্তু, সব্যসাচীর আরেক পরিচয় তিনি সাধক বামাক্ষ্যাপা। অভিনেতা নিজের দক্ষতা এবং অভিনয়ের মাধ্যমেই সেই জায়গা তৈরি করেছিলেন।
ঈশ্বর ভক্তি এবং সেবার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন স্ক্রিনের মাধ্যমেই। আর তিনি SVF এর নতুন প্রজেক্টে ফিরছেন। জানা যাচ্ছে, কাজের জন্য যেখানে রেইকি করতে গিয়েছিলেন তিনি, সেখানে নাকি তাঁকে দেখে মানুষ উদ্বেলিত। সাধক বামা হিসেবে তিনি যে ভালবাসা পেয়েছেন সেখানে তাতে সব্যসাচী আপ্লুত। এই জনপ্রিয়তা, এই সম্মান সামলান কী করে? সব্যসাচী উত্তরে মৃদু হাসি হেসেই বললেন...
"একটা তো সামাজিক দায়িত্ব থেকে যায়। যেহেতু এমন একটা চরিত্র, যার সঙ্গে মানুষের ধার্মিক যোগ রয়েছে। কিন্তু, এখনও গ্রামের দিকে আমি যখনই যাই, তখনই দেখি যে, এই যে সম্মান বা ভালবাসাটা আমাকে দেওয়া হচ্ছে, প্রথমে ভাবতাম হয়তো আমার অভিনয় দেখে তাঁরা মুগ্ধ হচ্ছেন, সেকারণে। কিন্তু, পরে আমি দেখলাম যে আমায় না, ওরা আমাকে বামদেব ভেবে সম্মানটা দিচ্ছে। ওরা যে সম্মান আমায় দেয়, সেটা কিন্তু বামদেবের প্রাপ্য, আমি হয়তো শুধু অভিনেতা হিসেবে এই প্রশংসা কুড়োই।"
উল্লেখ্য, ঐন্দ্রিলা শর্মা মারা যাওয়ার পর, সব্যসাচী নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। সমাজ মাধ্যম থেকে সরে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু না, এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। বরং, নিজের কাজে ফিরেছেন তিনি। রামপ্রসাদ হিসেবেও তিনি মুগ্ধ করেছেন অনেককে।