তারকারা নাকি সংসার করতে পারেন না? তাঁরা নাকি নিজের ইচ্ছেমত চলেন সবসময়? তাঁদের নাকি মতিগতির ঠিক নেই? তাহলে দীর্ঘ ৩০ বছর কী করে সংসার করলেন মিঠু চক্রবর্তী? সম্প্রতি রাহুলের শো সহজ কথায় এসেই তিনি তাঁর সাংসারিক জীবন এবং শাশুড়িকে নিয়ে যা যা বললেন, তাতে বাহবা পাওয়ার যোগ্য এই অভিনেত্রী। মিঠু চক্রবর্তী একেবারেই ফিল্মি দুনিয়ার মানুষ না। তিনি বিয়ে হয়ে এসেই যেন একেবারে অন্যরকম পরিবারে নিজেকে মেলে ধরতে চেয়েছিলেন।
বিয়ে হয় ২৩ বছর বয়সে। সংসারে সকলেই ছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর জীবনে শাশুড়ির প্রভাব ছিল দারুণ। ৩০ বছর শাশুড়িকে নিয়ে সংসার করা নিতান্তই মুখের কথা নয়। কিন্তু বৌমা হিসেবে যে কতটা ভাল ছিলেন তিনি সেকথা প্রমাণিত হল তাঁর কথাতেই। সব্যসাচীর স্ত্রী বললেন, আমি যখন দুধে আলতায় পা দিয়ে ঢুকলাম, আমায় আমার শাশুড়ি মা বললেন, তোমায় তো আমি আমার মেয়ের মত ভালবাসতে পারব না, তুমি নিজের জায়গাটা নিজে করে নিও। তখন আমার ২৩ বছর বয়স। তারপর থেকে উনি আমার সঙ্গি হয়ে গেলেন।"
ঝগড়া করেছেন মারাত্মক। শাশুড়ির সঙ্গে কথা বন্ধ করে নিজের ঘরে চলে যেতেন। অভিনেত্রী বলছেন, একটা সময় এমন হত যে মা যখন শেষ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকতেন, তখন আমরা ভিজিট করতে যেতাম। মা তাঁর মেয়ের সঙ্গে খুব একটা দেখা করতেন না। খালি আমার খোঁজ করতেন। আমার ননদ বেরিয়ে এসে বলত, এই তোকে ডাকছে। একটা কথা বলতে পারি, মা আমায় বিশ্বাস করতেন। আমি উনাকে ১৪-১৫টা করে ওষুধ খাওয়াতাম, মজা করে বলতাম কী যে খাও, ভয় করে না? উল্টে উনি আমায় বলতেন, না না! তুমি আমায় বিষ দিতে পারবে না।"
ভয়ঙ্কর ঝগড়া করেও সবকিছু মিটিয়ে নিতেন তাঁরা। মিঠু বলেন, "আমরা প্রচণ্ড ঝগড়া করতাম। যে যার ঘরে চলে যেতাম। তারপর সন্ধেবেলা আবার ফিরে এসে দুজনকে দুজনকে ধরে কাঁদতাম, সব মিটিয়ে নিতাম। কিন্তু, একটা কথা আমার দুই ছেলে মানুষ হয়েছে আমার শাশুড়ির জন্য। উনি যেভাবে আমায় সাপোর্ট করেছেন, সত্যি বলছি সেই জন্যই আমার ছেলেগুলো মানুষ হয়েছে।" প্রসঙ্গে, কিছুদিন আগেই তাঁর ক্যানসার ধরা পড়েছিল। একারণেই শুটিং ফ্লোর ছেড়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তবে, এখন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ।