ফের একবার টলিপাড়ার নায়িকারা কুণাল ঘোষ এবং দেবাংশুর মন্তব্যের কারণে সরব। কুণাল ঘোষ যেকোনও বিষয়েই নিজের মন্তব্য রাখেন। সেই নিয়ে বিতর্ক হয় ভয়ানক। কিন্তু, এবার... টলিপাড়ার এক নায়িকার তরফে এমন কী শুনলেন যে নিজেকে তাঁর ভাসুর ভাসুর মনে হচ্ছে তাঁর?
তৃণমূল কংগ্রেসের দুই চেনা মুখ, দেবাংশু এবং কুণাল ঘোষ। তাঁরা সবসময় যেকোনও বিষয়েই আওয়াজ তোলেন। আর এবার অভিনেতা দীপাঞ্জন ভট্টাচার্যর স্ত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্য, যিনি নিজেও অভিনেত্রী, তাঁর মন্তব্যেই শুরু গিয়েছে শোরগোল। অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এই যে কুণাল ঘোষ এবং ছেলেটি কী যেন নাম দেবাংশু, একদিন না একদিন তো তাঁকে পাবলিকের সামনে আসতেই হবে। এত যে ডায়লগ, তখন দেখব যে কিভাবে ওরা বাঁচে? সামনে একদিন তো আসতেই হবে।
আর সেই কথার প্রেক্ষিতেই কুণাল বলে বসেন, "হ্যাঁরে দেবাংশু, তোর পাত্রী দেখার কাজটা এগোব? তোর সঙ্গে বেশ মানাবে। রাগের মধ্যেই থাকে অনুরাগের বীজ। তাছাড়া, কেমন সংস্কার মানে, স্বামীর নাম মুখে আনতে চায় না। আমার তো নিজেকে এখনই ভাসুর ভাসুর লাগছে।" আর কুণালের এই মন্তব্য চোখে পড়তেই, দেবাংশু শুরু করলেন নিজের বক্তব্য। দাদা কুণালকে না বলতে পারবেন না তিনি। তাই তো, ফের একবার মজা করে বললেন... "বলছ তাহলে কুণাল দা? তুমি খুঁজে দিচ্ছ মানে এত সহজে কি না বলতে পারি! কিন্তু গলা শুনে মনে হচ্ছে বড় দজ্জাল.. টিকবে কি? বিনয় কোঙারের মতো "লাইফ হেল" করে দেবে তো! এ বাবা! এমা.. দাঁড়াও দাঁড়াও.. বিবাহিত তো! সরি..সিরিয়ালে কাজ নেই। ডাক্তারদের আন্দোলনে বিরিয়ানি খেতে গেছে। আমাদের নাম নিয়ে একটু ফুটেজও খাক।"
দুজনে যে হারে মৌসুমীকে নিয়ে মন্তব্য করলেন তাতে টলিপাড়ার অন্যতম অভিনেত্রী সংঘশ্রী রেগে আগুন। তিনি দুজনের বক্তব্যে যথেষ্ট হতাশ হচ্ছেন। তিনি লিখছেন, "কুণাল ঘোষ আপনার সাহস দেখে অবাক হই। আপনার সব আমরা আগেই দেখেছি। আমাদের কাজ আছে না নেই সেটা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আমাদের মানসিকতায় থাকে। আজ কাজ থাকবে। কাল থাকবে না। আপনার মত লোকের টাকা মেরে জেলের ঘানি টানে না। আপনি দয়া করে কথাবলা বন্ধ করুন। ভয় পেয়েছেন বোঝা যাচ্ছে, তবে বয়স হচ্ছে তো, বোকা বোকা কাজ বন্ধ করুন।"
অভিনেত্রী থামলেন না। তাঁর পাশাপাশি তিনি দেবাংশুর উদ্দেশ্যে বলেন, "তোমার জন্য তোমার দাদা যে পাত্রী খুঁজছে, তুমি কাজটা কি করো শুনি। লোকের টাকা ঝেড়ে আর নিউজ চ্যানেলে লোক হাসিয়ে, ফুটেজ খেয়ে তো সংসার চলে না ভাই।" অন্যদিকে অভিনেতা শঙ্কর দেবনাথ বলেছেন, "দেবাংশুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।" যদিও, বা কুণাল ঘোষ এবং দেবাংশু কথায় একদল রেগে আগুন। তাঁরা বলছেন, এভাবে একজন মহিলাকে অপমান করা উচিত না। কাউকে দজ্জাল বলছেন কীভাবে? অন্যদিকে, দেবাংশু পাল্টা মন্তব্য করে লেখেন...
"একজন মহিলা প্রকাশ্যে দুজনকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করার উস্কানি দিচ্ছেন। ডাক্তারদের উস্কানি দিচ্ছেন, দুজন মানুষকে ভবিষ্যতে চিকিৎসা না দেওয়ার জন্য। সেই মহিলার দেওয়া খুনের হুমকি নিয়ে কারোর কোন পোস্ট নেই! কারোর নিন্দে নেই..! আর সেই বুদ্ধিজীবীরা আমাদের লেখা নিয়ে খাপ পঞ্চায়েত বসিয়েছেন..! অসাধারণ!"