Bengali Actress: ১১ বছর বয়সেই শ্বশুরবাড়ি! অর্থের অভাব এভাবেই পাল্টে দিল বাঙালি অভিনেত্রীর জীবন...

Bengali Actress: অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেওয়া, এক সময় বাংলার ঘরে ঘরে চল ছিল। কেউ বলতেন, বেশি পড়াশোনা করে কি করবে? কেউ বলতেন মেয়ে মানুষের বেশি পড়াশোনা করে এগিয়ে যাওয়া কিংবা চাকরি করা উচিত নয়? আবার কেউ কেউ নিজের ঘরে, মেয়েকে সুখে শান্তিতে স্বাচ্ছন্দে রাখতে পারতেন না বলেই পরের ঘরে পাঠিয়ে দিতেন। এরকমই টলিপাড়ার এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী আছেন, যিনি মাত্র ১১ বছর বয়সেই শ্বশুরবাড়ি চলে গিয়েছিলেন।

যদিও সেই জীবনটা তার সুখের হয়নি। তাকে তথাকথিত বালিকা বধূ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও, বালিকা বধূর মত পরবর্তী জীবনটা সুখের হয়নি বরং খুব একটি ইলাবরেটেড জীবণও ছিল না। তাই যখনই তাঁকে জিজ্ঞেস করা হতো এই নিয়ে, তিনি সহজ সোজা ভাষায় হেসেই এড়িয়ে যেতেন এই বিষয়টা। পরিবারের অর্থাভাব, কষ্টে দিনযাপন, ঠিক করে খাবার পর্যন্ত জুটত না, সেই কারণেই বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টারের বোনকে এবং জনপ্রিয় তারকার কন্যাকে অল্প বয়সেই নিজের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল। প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এর বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়।

Bangladeshi Actress: আশঙ্কাজনক অভিনেত্রী, খুলে দেওয়া হতে পরে লাইফ সা…

একসময় জীবনে কি পরিমাণ স্ট্রাগল গেছে তার, তার পরিবার কত সমস্ত অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, যে কারণেই বাধ্য হয়ে মেয়েকে অল্প বয়সে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিতে হয়েছিল তাঁর মাকে। অপুর সংসারে এসেই তিনি একথা বলেছিলেন। অভিনেত্রী বলেন... "খুব সুখের বিয়ে আমার হয়নি। বলা চলে একদম চাইল্ড ম্যারেজ। আমার যখন ১১ বছর বয়স তখন আমি শ্বশুর বাড়ি চলে যাই। এবং ১৩ বছর বয়সে আমার বিয়ে হয়ে যায়। শুধু যে আমার মা এ কথা ভেবেছিলেন সেটা বলবো না। আমার মনে হয় প্রত্যেকটা মা তার মেয়েকে সুরক্ষিত এবং ভাল রাখতে  এসব করতেই পারেন। আমার খাওয়া পরার অভাব হবেনা। এটাই বেশিরভাগ মা-বাবার চিন্তা করেন।"

এরপরে অভিনেত্রী বলেন তিনি পড়াশোনা খুব একটা করতেন না কিন্তু স্টুডেন্ট খুব ভালো ছিলেন। অভিনেত্রীর কথায় তিনি অলরাউন্ডার ছিলেন। বললেন, "আমি খেলতাম ভালো, পড়াশোনায় ভালো ছিলাম। স্কুলের ড্রামা নাচ সবটাই করতাম। শ্বশুরবাড়ি থেকে স্কুলে যেতাম। ওখানে আবার ক্লাসিকাল গানও শিখতাম। তারপর ১৫-১৬ বছর বয়সের মধ্যে আমি মা হয়ে গেলাম। কিন্তু তারপরে আমার জীবনটা পাল্টে গেল। শুরুটা হয়েছিল এভাবে কিন্তু তারপর, একদম অন্যরকম পাল্টে গেল।"