payal ghosh Lost Deatrest Friend: ছ'সেকেণ্ডের রুদ্ধশ্বাস একটা মুহূর্ত। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে অহমদাবাদের বিমানবন্দরের ২৩ নম্বর রানওয়ে থেকে উড়েছিল বিমানটি। গন্তব্যস্থল ছিল লন্ডনের অদূরে গ্যাটউইক বিমানবন্দর। ২০০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ান এই বিমানটি। উড়ানের ঠিক পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আহমেদাবাদের মেঘানিনগরের বিজে মেডিকেল কলেজের ইউজি হোস্টেলের মেসের উপর ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর এখনও অনেক যাত্রীদের খোঁজ মেলেনি। অনেকের দেহ শনাক্তও করা যায়নি। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। প্রিয়জনদের হারানোর যন্ত্রণায় যখন চারিদিকে হাহাকার, তখন কাছের বন্ধুকে হারিয়ে শোকবিহ্বল বাঙালি অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ। হৃদয় বিদারক পোস্টে বন্ধুকে হারানোর যন্ত্রণা শেয়ার করলেন।
পায়েলের কলেজের বন্ধু প্রীতি চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনাতেই শেষ হয়ে যায় তাঁর জীবন। বন্ধুর এই মৃত্যুতে জোর ধাক্কা খেয়েছেন অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ। শোকবার্তায় লিখেছেন, 'প্রীতি তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি। চট্টোপাধ্যায় পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি।' Free Press Journal-এর খবর অনুযায়ী, পায়েল জানিয়েছেন, 'আমি জানতাম প্রীতি লন্ডন যাচ্ছিল। খবরটা দেখেও ওঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। দুর্ভাগ্যবসত ফোনের ওপারে কারও সাড়া না পেয়ে নিশ্চিত হয়ে যাই প্রীতিও এই দুর্ঘটনার শিকার। সেই মুহূর্তে পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে গিয়েছিল। কলেজ জীবন থেকে আমরা বন্ধু ছিলাম। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না ও আর নেই।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/d042692b-723.jpg)
বন্ধুর এই মর্মান্তিক মৃত্যু প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পায়েল আরও যোগ করেন, 'আমি শুধু ওঁর জন্য নয়, যাঁরা এই বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। এই কঠিন সময়ে ভগবান ওঁদের পরিবারকে লড়াই করার শক্তি দিক।' ইন্ডাস্ট্রির সিংহভাগ সেলেবরাই এই ভয়ংকর বিমাবন দুর্ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, আহমদাবাদে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন। দেখা করেছেন বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশের সঙ্গেও।
আরও পড়ুন একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে লাগাতার যাতায়াত, ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় কতটা শঙ্কিত দেবচন্দ্রিমা-কঙ্কনারা?