স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় প্রথম থেকেই আওয়াজ তুলেছেন। তিনি নারী সুরক্ষার পাশাপাশি সর্বত্রই বেশ সরব। তবে, এবার বাংলার মহারাজের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন অভিনেত্রী।
সারা বাংলা জুড়ে লড়াই চলছে। মেয়েরা, নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে লড়াই করে চলেছে। অভিনেত্রীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও আক্রোশ এবং ক্ষোভ সাংঘাতিক। কীসের রাত কীসের দিন? মেয়েদের মধ্যে বেড়েই চলেছে বাঁধ ভাঙার ইচ্ছা।
Advertisment
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় প্রথম থেকেই আওয়াজ তুলেছেন। তিনি নারী সুরক্ষার পাশাপাশি সর্বত্রই বেশ সরব। তবে, এবার বাংলার মহারাজের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন অভিনেত্রী। যে ঘটনা আরজি করে ঘটেছে, তাতে স্তম্ভিত গোটা দেশ। কিন্তু, দাদা সৌরভ গাঙ্গুলি যে কথা বলেছেন তাতে তাঁকে ছিঁড়ে খাচ্ছেন বাংলার মানুষ।
সৌরভের কথায়, এটা সামান্য একটা ঘটনা। একটি নির্দিষ্ট কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতে শহরের সুরক্ষায় প্রশ্ন তোলা যায় না বলেই দাবি করেছেন তিনি। দাদার বক্তব্যের পরেই আরও সরব মানুষ। একজন মেয়ের বাবা হয়ে তিনি এহেন মন্তব্য কী করে করলেন, সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। অন্যদিকে, স্বস্তিকা সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি আর কোনোদিন দাদাগিরির মঞ্চে যাবেন না।
যদিও, শেষ কিছুদিন ধরে সমাজ মাধ্যমের পাতায় এমনই প্রতিবাদ, যে দাদাগিরি দেখার আগে আরও দুবার ভাবুন। আর স্বস্তিকা দাবি করছেন... "আমি কোনোদিন দাদাগিরি তে যাইনি। যাওয়া হয়নি। আর কোনোদিন যাবনা। একসিডেন্টালি যাব না সেটা নয়। নিজের ইচ্ছে তেই যাব না। 'RAPE and MURDER is not ACCIDENT. It is definitely NOT A STRAY INCIDENT EITHER'। আর আমাদের সুন্দর দেশে কোনো বয়সের মেয়েরাই সেফ নয়। কোনো রাজ্যেই নয়। এই দুই কাজ - রেপ এবং খুন ইচ্ছাকৃত। যারা করেছে, যারা। করে তারা ইচ্ছে করে করেছে/ করে । জেনে বুঝে করেছে/করে। যাদের এখনও ঘুম ভাঙেনি, তাদের আর ভাঙবে না। আমাদের আইকনকে বলছি, আপনি আশা করব এই ধর্ষণের ছোট পার্ট হয়ে আপনি থাকবেন না। আমি এটাই আশা করব..."
সৌরভের মন্তব্যের পর অনেকেই তাঁকে ধিক্কার জানিয়েছেন। পাশাপাশি সমাজমাধ্যমে মিম ঘুরছে গ্রেগ চ্যাপেলেরও। কেউ কেউ তো এমন বলছেন বাংলার দাদাকে আগেই অনেকে চিনতে পেরেছিলেন। মানসী সিনহা থেকে অপরাজিতা, এমনকি শ্রীলেখা মিত্র, সৌরভের বক্তব্যের চরম নিন্দা করেছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এর পাশাপাশি শ্রীলেখা মিত্র, অনেকেই জোরালো আওয়াজ তুলেছেন। শুধু তাই নয়, আজ কাল আগামীকাল ইন্ডাস্ট্রির তরফে ডাকা হয়েছে মিছিল। সেখানেও সামিল হবেন অনেকেই। গতকাল, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় পা মিলিয়েছেন। সকলের একটাই বক্তব্য, থামিয়ে দেওয়া যাবে না আন্দোলন।