বাংলা ছবি এবং সেই ছবির কিছু মর্মান্তিক দৃশ্য আজও দর্শক মনে রেখেছেন। এমন কিছু ছবি, সঙ্গে পছন্দের তারকা চরিত্রের মৃত্যু - কাঁদিয়ে ছেড়েছিল দর্শকদের। অনেক সময় তো সিনেমার প্রয়োজনে পরিচালকরা লিডিং তারকাদের পর্যন্ত পরলোকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। একঝলকে দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু সিনেমাটিক মৃত্যু যা কাঁদিয়ে ছেড়েছিল ভক্তদের।
মেঘে ঢাকা তারা (১৯৬০): নীতার “আমি বাঁচতে চাই” বলে চিৎকার করে মারা যাওয়া। ঋত্বিক ঘটকের এই দৃশ্য কালজয়ী।
দেবদাস (১৯৫৫): মদের নেশায় বিধ্বস্ত দেবদাসের মৃত্যুর মুহূর্ত, বিশেষ করে পার্বতীর বাড়ির দরজার সামনে গিয়ে প্রাণত্যাগ। এই ছবির পরিচালক ছিলেন বিমল রায়। সুচিত্রা সেন অভিনয় করেছিলেন পার্বতীর চরিত্রে। অন্যদিকে বৈজন্তীমালা অভিনয় করেন চন্দ্রমুখীর ভূমিকায়। এই কালজয়ী ছবির শেষ দৃশ্য ছিল বেদনাদায়ক।
পথের পাঁচালী (১৯৫৫): পরিচালনা সত্যজিৎ রায়, এই ছবিতে বাংলা এবং বাঙালিকে চিনিয়েছিলেন মায়েস্ত্রো। এই ছবিতেই অপু-দুগ্গা অর্ৎাথ ভাইবোনের খুনসুটির মুহূর্ত যেমন মন কেরেছিল, তেমনই ইন্দির ঠাকরুনের গাছতলায়, একা একা তাঁর মৃত্যু বেশ হৃদয়বিদারক মুহূর্ত বাঙালির কাছে।
India-Pak Ceasefire: 'পাকিস্তান হারলে পাল্টা', আগেই জানিয়েছিলেন 'সুবেদার মেজর' ওম পুরী, ভাইরাল সেই দৃশ্য..
অপুর সংসার (১৯৫৯): সত্যজিৎ রায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (অপু), শর্মিলা ঠাকুর (অপর্ণা), গর্ভবতী অবস্থায় অপর্ণা গ্রামে বাবার বাড়ি যায় সন্তান জন্ম দিতে। অপুর অজান্তেই প্রসবের সময় অপর্ণার মৃত্যু হয়।
বোঝেনা সে বোঝেনাঃ বলা উচিত এই ছবি দেখে দিনের পর দিন মানুষের ঘুম উড়েছিল। এমন এক বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিল দেখিয়েছিলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী এই ছবিতে যে চমকে যেতে হয়। এই ছবির ক্লাইম্যাক্স দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি কেউই। এই ছবির শেষে সোহম এবং পায়েল মারা যান।
বাঘা যতীনঃ দেব এই চরিত্রে নাম ভুমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সেখানে তিনি যতীনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। তাই, তাঁকে তো গল্পের খাতিরে তাঁকে যেতেই হত। দেবের মৃত্যু কাঁদিয়ে ছেড়েছিলেন সকলকে।