Advertisment

Joydeep Mukherjee: শ্রীজিত রায়ের পর জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, ফেঁসে রয়েছে লাখ লাখ টাকা, ফেডারেশনের দাপটে বন্ধ হল 'অচিন্ত্য আইচ ২'-র শুটিং!

Tollywood vs Federation: একসময় গানের ওপারের মত সিরিয়াল পরিচালনা করেছেন তিনি, তাঁকেও ফেডারেশনের ইউনিটের অসঙ্গতির মুখে পড়তে হয়েছে। এবং, এবার তিনি সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে সমাজ মাধ্যমে জানিয়েছেন।

author-image
Anurupa Chakraborty
New Update
joydeep mukherjee- federation

joydeep mukherjee- federation: ফেডারেশনের দাপটে বন্ধু শুটিং, মুখ খুললেন জয়দীপ Photograph: (ফাইল চিত্র )

Tollywood Vs Federation: টলিপাড়ার বুকে পরিচালক বনাম টেকনিশিয়ান বিবাদ এখনও অব্যাহত। কিছু মাস আগেই এই অশান্তি শুরু হয় রাহুল মুখোপাধ্যায়ের ছবি ঘিরে। এখনও সেই ঝামেলা থামেনি বলাই চলে। বরং দিনের পর দিন অশান্তি আরও বাড়ছে। এবার পরিচালক শ্রীজিৎ রায়ের শুটিং ফ্লোর তৈরির আগেই দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। এমনকি পরিচালক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, যিনি এত সিরিজ এবং সিরিয়াল পরিচালনার সঙ্গে সঙ্গে বহুবার অভিনয় পর্যন্ত করেছেন, তাঁকেও নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।

Advertisment

জয়দীপ মুখোপাধ্যায় ( Joydeep Mukherjee ), যিনি বর্তমানে নানা ধরনের সিরিজ পরিচালনার জন্যই পরিচিত, একসময় গানের ওপারের মত সিরিয়াল পরিচালনা করেছেন তিনি, তাঁকেও ফেডারেশনের ইউনিটের অসঙ্গতির মুখে পড়তে হয়েছে। এবং, এবার তিনি সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে সমাজ মাধ্যমে জানিয়েছেন। তিনি একেন বাবু পরিচালনা করেছেন। বর্তমানে শুটিং শুরু করার কথা ছিল অচিন্ত্য আইচ সিজন ২ এর। জানুয়ারি মাসে তারিখ থাকলেও ঠিক কী কারণে সেই শুটিং তাঁকে বন্ধ করতে হল, নিজেই জানিয়েছেন। তাঁকে বলতে শোনা গেল...

দীর্ঘ এতবছর এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন। জানুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত শিডিউল করা ছিল। তবে এই সমস্যার মধ্যে যে পড়তে হবে ভাবেননি। পরিচালক বলছেন... "আগামীতে আমি আর কিছু করতে পারব কিনা জানি না। ২৭ তারিখ থেকে শুটিং হওয়ার কথা ছিল। আমি সেই অনুযায়ী ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী, ২৩ তারিখ প্রযোজনা সংস্থার তরফে একটি চিঠি ফেডারেশনে পাঠাই। ২৪ তারিখে আমাদের কাছে একটি মেল আসে যে আপনাদের টেকনিশিয়ান ইউনিটে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। আপনারা আমাদের সঙ্গে দেখা করুন, এবং সামনাসামনি বসে সেটা ঠিক করে নিন।

আমরা ২৪ তারিখে তাদেরকে একটি পাল্টা মেইল পাঠাই, আমরা তৈরি আছি। আপনারা বলুন, কবে কখন কোথায় আলোচনা করতে হবে আমরা সেই অনুযায়ী পৌঁছে যাব। ২৪ তারিখ তারা কোন মেইলের উত্তর দেননি। এবং লাগাতার ২৫/২৬ তাদের কোন উত্তর আসেনি। সে কারণেই আমরা পরবর্তীতে ২৭ তারিখ এবং ২৯ তারিখে আরেকটি মিল পাঠাই, তারও কোন উত্তর নেই। ৩০ তারিখে তাদের কাছ থেকে একটি মেইল আসে, এখানে জানানো হয় যে ৩ তারিখ অর্থাৎ ৩রা ফেব্রুয়ারি, সন্ধ্যা সাতটার সময় টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে তারা মিটিং করবেন।

Advertisment

এরপর পরিচালক আরো বলেন, "তিন তারিখ আমরা সন্ধ্যা সাতটা বাজার আগেই টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে পৌঁছে যাই। এবং সেই অফিসে তখন যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা জানেন যে যারাই মিটিং নিয়ে কথা বলবেন তারা অলরেডি বেরিয়ে গেছেন। সুতরাং কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। সাড়ে সাতটা পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করতে থাকেন। তারপর অফিস থেকে জানানো হয় তারা আজকে ফিরছেন না, সুতরাং মিটিং আজকে সম্ভব নয়। এবং এও জানতে চাওয়া হয় শুটিং আপনারা কবে থেকে শুরু করবেন? তখন আমাদের প্রতিনিধিরা বলেন, যে আমাদের মোটামুটি সিডিউল ফাইনাল করা আছে। জায়গাও সব ঠিক করা আছে, আপনাদের কাছ থেকে অনুমতি পেয়ে গেলে আগামী দুদিনের মধ্যেই আমরা শুরু করব। তারপর তাদের কাছেও জানতে চাওয়া হয় যে আপনারা কি সেম ইউনিট নিয়েই কাজ করবেন? এবং আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়ে দেন যে হ্যাঁ আমরা এই ইউনিট নিয়েই কাজ করব। তখন জানানো হয় যে মঙ্গলবার ফোন করুন, সেদিন সিদ্ধান্ত জানানো হবে। যথারীতি আমরা গত কালকে ফোন করেছি, কিন্তু কোনভাবেই আমাদের উত্তর দেওয়া হয়নি কিংবা আমাদের কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এবং আমাকে বাধ্য হয়ে শুটিংটা আজকে বন্ধ করে দিতে হলো। কারণ এত অভিনেতা অভিনেত্রী এত টেকনিশিয়ান সবাই সিডিউল নিয়ে বসে আছেন। এতগুলো জায়গায় লোকেশন যেগুলো আমাকে বুকিং করতে হয়েছিল, সব জায়গায় তো কিছু এডভান্স দিয়ে জায়গা বুকিং করতে হয়। মোটামুটি এখনই আমাদের ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা বেরিয়ে গেছে। কি করে সেটা আমরা রিকভার করব জানি না।"

এরপরে পরিচালক বলতে শুরু করেন যে এত বছর ধরে কাজ করছেন কিন্তু ইউনিট নিয়ে কোন সমস্যা তাকে পোড়াতে হবে ভাবতেও পারেনি। ইউনিটে কোথাও অসঙ্গতি আছে ৩০ বছর ধরে তিনি জানতে পারলেন না। কিংবা, কেউ আজ অব্দি তার কাছে অভিযোগ করেন নি। তিনি বললেন, "ইউনিটের কোথায় অসঙ্গতি আছে আজ অব্দি আমায় জানানোর প্রয়োজন কেউ মনে করেনি। আপনারা অনেকেই জানেন যে গতকাল শ্রীজিত রায়ের সাথেও ফ্লোরে ঠিক এরকমই একটি পরিস্থিতি হয়েছে। আমি ওই ফেডারেশনের একজন মেম্বার। আমি আশাবাদী ছিলাম, যে তারা হয়তো আমাকে বা আমার গিল্ডকে একটি সৌজন্যমূলক কোন মেল বা কিছু পাঠাবেন। ঠিক কোন কারণে আমার শুটিংটা ক্যানসেল করা হলো সেটার একটা কিছু আমায় জানাতে পারতেন তাঁরা। শুটিংটা কেন হতে পারল না, আমি জানি না। আমাদের যারা টেকনিশিয়ান বন্ধু রয়েছেন বা অভিনেতা অভিনেত্রী রয়েছেন, আমরা সকলে কিন্তু ফ্লোরে একটা পরিবারের মত থাকি। তারা সকলে আমাদের ভাইয়ের মতো। কিন্তু সেখানে কার কি বৃত্তান্ত কোথায় কি গলদ হল, আমি যদি আমার দোষটা জানতে নাই পারে তাহলে আমি বুঝতেও পারবো না।"

tollywood Federation Tollywood Shooting tollywood news
Advertisment