টলিপাড়ার অন্দরে কান পাতলেই নানা বিতর্ক এবং মশলাদার খবরে ভর্তি। ক্যাটফাইট কিন্তু বহুবছরের গল্প ইন্ডাস্ট্রিতে। নায়িকা বনাম নায়িকা কোনও নতুন ঘটনা নয়। তবে, ২০২৫ সালে এসেও যে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে, এমন কথা ভাবাও যায় না। শেষ কিছুদিন রুক্মিণী এবং শুভশ্রী বিতর্ক তুঙ্গে।
রুক্মিণী মৈত্র, বিনোদিনী ছবির মাধ্যমে নিজের অভিনয়ে নজর কাটতে না পারলেও, তাঁর নামের সঙ্গে এই থিয়েটার মায়েস্ট্রোর নাম কিন্তু জড়িয়ে গিয়েছে। এবং তারপরেই জানা গিয়েছে যে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় বিনোদিনী চরিত্রের জন্য অ্যাপ্রোচ করেছিলেন। যদিও দেব এই নিয়ে কোনও উক্তি করেননি। কিন্তু, পরবর্তীতে রুক্মিণী জানান, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আসন্ন ছবিতে তাঁর কাজ করার কথা ছিল।
সৃজিতের লহ গৌরাঙ্গের নাম রে এখন টক অফ দ্যা টাউন। এই ছবিতেও বিনোদিনীর ভূমিকা রয়েছে এবং যেখানে দেখা যেতে চলেছে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে। সৃজিত সাফ জানিয়েছেন, যে বিনোদিনী হিসেবে তাঁর প্রথম পছন্দ কেবল শুভশ্রীই। আর কাউকে নিয়ে তিনি ভাবেননি। এদিকে গতকাল SVF পার্বণে হাজির ছিলেন শুভশ্রী, সৃজিত এবং পরিচালক রানা সরকার। তিনি সমাজ মাধ্যমে এমন একটি পোস্ট করেছেন যাতে করে আদৌ তিনি কাউকে ঠুকলেন নাকি আশীর্বাদ করলেন, বোঝা সম্ভব না।
রানা, শুভশ্রী এবং সৃজিতের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করলেন। যেই পোস্টে তিনি লিখলেন, সবার চৈতন্য হোক। এই উক্তিটি শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের। তিনিই তাঁর শিষ্যদের এই আশীর্বাদ দিয়েছিলেন। শ্রী রামকৃষ্ণ নটি বিনোদিনীর কাছে গুরু সমান ছিলেন। এখন প্রশ্ন এখানেই রানা কি তবে রুক্মিণী এবং তাঁর ছবিকে নিয়ে ছেলেখেলা করেই এই কথা বললেন? ঠাকুরের উক্তি স্বরূপ কাদের চৈতন্য হওয়ার কথা বললেন তিনি? অন্যদিকে, তাঁর এই পোস্ট উল্লেখ করেই শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় কী বলছেন?
/indian-express-bangla/media/post_attachments/e91ea561-026.png)
না! তাঁকে সেভাবে কিছু শব্দে প্রকাশ করতে দেখা না গেলেও, তিনি মাথায় হাত দেওয়া একটি স্টিকার পোস্ট করেছেন। অর্থাৎ হাবেভাবে তিনি এই বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, রানার মন্তব্যে তাঁর কপাল চাপড়াতে ইচ্ছে করছে। উল্লেখ্য, শুভশ্রী ফিরছেন ড্যান্স বাংলা ড্যান্স মঞ্চে। সঙ্গে, আগামীতে ভবশঙ্করী ছবিতেও তাঁকে দেখা যেতে চলেছে।