কোয়ারেন্টাইন যে কতটা বদলে দিতে পারে মানুষের মন, সমাজের বদলে কতখানি বদল আসে চরিত্রেও সেটাই শর্ট ফিল্ম 'এবং আমি'-তে দেখিয়েছেন। আর গল্পের এই যাত্রায় নিরন্তর কাল ধরে চলে আসা সত্য এবং বাস্তবের যে দ্বন্দ্বকে জীবন দর্শনের ছোঁয়ায় দেখিয়েছেন দুই পরিচালক।
Advertisment
যাদেরকে কেন্দ্র করে এই ছবির গল্প ঘুরেছে তাঁরা হলেন অর্ক এবং রঞ্জা। গল্পের শুরুই হয় অর্কের বোধদয় দিয়ে। যেখানে দেখানো হয় অর্ক ফোন করে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা রঞ্জাকে পূর্বকৃত ভুলের ক্ষমা চাওয়ার জন্য। সম্প্রতি অর্কর প্রতিবেশিদের দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া যাওয়ায় সিল করে দেওয়া হয়েছে অর্কদের বিল্ডিং। বন্দিজীবন থেকে একবারে ঘরবন্দি অর্ক। স্মৃতিতে ভেসে ভারাকাক্র হয়ে ওঠে সে।
এ এক এমন সময় যখন আগামী দিনে সে বাঁচবে কি মৃত্যু আসন্ন তা জানা নেই তাঁর। অথচ বর্তমান জীবন এতটাই রুদ্ধ ভুলের ক্ষমা তাঁকে চাইতেই হত। অতএব একদা কাছের মানুষের কাছে নতজানু হয় অর্ক। ভাইরাসের দাপটে যে কেবল শারিরীক হানি হচ্ছে তা নয় চারিত্রিক হানিও যে হচ্ছে সেটাই এই ছবিতে ফুটিয়ে তুলেছেন রণজিত দে এবং সুদীপ যাদব।
অর্ক এবং রঞ্জার চরিত্রে অনুভব কাঞ্জিলাল এবং পুজারিনী ঘোষ সামঞ্জস্য বজায় রেখেছে। পরিচালকদ্বয় দুজনেই জানান তাঁরা ঋতুপর্ণ ঘোষের কাজের অত্যন্ত ভক্ত। তাঁদের কাজেও সেই ঋতুর ছোঁয়াই দিতে চেয়ে এসেছেন। এই ভাবনার কথা মাথায় আসতেই তা ছবির ফ্রেমে দেখার স্পৃহা তৈরি করে এই দুইয়ের মধ্যে। সুদীপের বলা গল্পকে নিয়ে তৈরি হয় চিত্রনাট্য। মনস্তত্ব এবং জীবন দর্শনের ছবির ভাবনা দিয়ে তাকে পরিপূর্ণ রূপ দেয় রণজিত। তারপরেই দর্শকের সামনে 'এবং আমি'।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন