Reena Chowdhury-Bengali Film: একসময় বড়পর্দায় রাজ করতে চুমকি চৌধুরী এবং রীনা চৌধুরী। তাঁদের বাবা টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক শ্রী অঞ্জন চৌধুরী ছিলেন বাংলা সিনেমার কান্ডারী। তিনি যেভাবে পারিবারিক গল্পগুলোকে অন্য মাত্রা দিয়েছিলেন, সেটি সাংঘাতিক। একেকটা ছবি হলে থাকতো প্রায় ২০০ দিন। দিনের পর দিন ছবি বক্স অফিস কাঁপাতো। বা অঞ্জন চৌধুরীর মেয়ে যখন, রীনা তো পরিচালনা করবেনই।
চুমকি এবং রীনা দুজনেই সিলভার স্ক্রিন কাঁপিয়েছেন। যদিও, রীনা বহুদিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। তবে, না! কিছু বছর আগে ছবি পরিচালনা করেছিলেন তিনি। এবং বর্তমানে আবারও শোনা যাচ্ছে তাকে নাকি পরিচালক হিসেবে দেখা যেতে চলেছে। বাবার দেখানো পথেই কি তিনি হাঁটছেন? রীনা চৌধুরী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে এই প্রসঙ্গেই কথা বলেন। অভিনেত্রী নতুন ছবি নিয়ে খুব আগ্রহী।
তাঁর বাবা পরিবারের গল্প বলতেন। ছোট বউ থেকে শুরু করে পূজা - সোজা ভাষায় কমার্শিয়াল ছবি নিয়ে কাজ করতেন তিনি। আর সেই ছবি এখনো পর্দায় এলে চোখ ফেরাতে পারেন না অনেকেই। রিনা চুমকি এবং সন্দীপ, তিন ভাইবোনই টিনসেল টাউনের সদস্য। এবং চুমকি বর্তমানে সিরিয়ালে অভিনয় করতে ব্যস্ত। রীনা চৌধুরীকে যখন তাঁর আসন্ন ছবি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হল, তিনি উত্তরে জানান, তাঁর ছবির নাম সোহাগ রাত। শুধু তাই নয়, এই ছবিতে অভিনয় করছেন তরুণ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে সৌরভ। এবং নায়িকা হিসেবে থাকছেন নবাগতা এক অভিনেত্রী। যদিও সিরিয়ালে তিনি কাজ করেছেন, তবে সিনেমায় নতুন।
এই ছবিতে কি তাঁর দিদি কাজ করছেন? কারণ, দিদি তাঁর ছায়াসঙ্গী। বেশিরভাগ সময় দিদিকে ছাড়া কিছুই করেন না তিনি। সেই সাপেক্ষেই বললেন... "দিদির এই ছবিতে কাজ করার কথা ছিল, কিন্তু দিদির শুটিং থাকায়, ও সময় দিতে পারল না।" এই প্রসঙ্গে যখন চুমকি চৌধুরীকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি বলেন, একদমই তাই। আমার শুটিং চলছিল সিরিয়ালের। সেকারণেই সময় দিতে পারলাম না। কিন্তু ওর গল্পটা ভাল।" খবর ছিল, বাবার কোনও সিনেমার নাকি রিমেক করতে চলেছেন রীনা। সেইসব গল্প তো সুপারহিট। অভিনেত্রী পরিচালক বলছেন... "না না, গল্প সম্পূর্ন আমার। আমার নিজস্ব গল্প। তবে, হ্যাঁ! আমি যখন কোনও ছবি বানাই, তখন বাবার গল্পের দিকটা একটু ফলো করি। ওই যে ফুটস্টেপস বলে না, বাবা যেমনভাবে গল্প বলতেন, আমি সেটা একটু মেনে চলার চেষ্টা করি।"
প্রসঙ্গে, সিনে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে তাঁদের বহু পুরোনো সর্ম্পক। চুমকি চৌধুরী একবার বলেছিলেন, যে বাবার সিনেমার কাজের জন্য মা খুব স্ট্রাগল করেছিলেন। দুজনের স্ট্রাগল দেখেই বড় হয়েছেন তিনি। এবং তাঁদের ভাই প্রয়াত সন্দীপ বাবু, তিনি সিরিয়াল পরিচালক হিসেবে বেশ কিছু মাইলস্টোন সৃষ্টি করেছিলেন। যা আজও ভোলার নয়।